দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ ও দলীয় প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ কৃষ্ণপুর ফুটবল মাঠ এবং কমলা ইউনিয়নের দরগাডাঙ্গ স্কুল মাঠে দুটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য এই ভোট প্রার্থনা করেন।
বিধি অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দিন ও সময়সূচি ছাড়া কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচার নিষিদ্ধ।
তবে এতে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তিনি তার নির্বাচনি এলাকার জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
সভায় অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুটি সভাতেই এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংসদ সদস্য নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। তিনি অতীতের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে আগামী নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফারুক চৌধুরী (Faruk Chowdhury) নামে নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে অনুষ্ঠান দুটি সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়।
সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের দুপুরে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়। দুই সভাতেই গরু, খাসি ও মুরগির বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে বলে আগে থেকেই সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ‘বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়’ এর ব্যানারে সভা দুটি হয়েছে। সংসদ সদস্য সমাবেশে আবারও তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। আর একবার সুযোগ চেয়ে তিনি আবার নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য বিপুল সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় দলীয় সমর্থকদের হাততালি দিতে দেখা যায়। সভার মঞ্চ থেকে তিনি স্লোগান দেন।
ওমর ফারুক বলেন, “৭ জানুয়ারি আপনাদের জন্য আরেকটা পরীক্ষার দিন। কঠিন এই পরীক্ষায় আপনাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। আপনারা সবাই চোখ বন্ধ করে নৌকায় ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা গত ১৫ বছরে অনেক কিছুই পেয়েছেন এবং আরও পাবেন।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “তফসিল হওয়ার পর কমিশন ঘোষিত প্রচার-প্রচারণার জন্য নির্ধারিত দিন ও সময়ের মধ্যেই নির্বাচনি প্রচার করতে পারবেন কোনো প্রার্থী। এ ছাড়া কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী অগ্রিম ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন না। এটাই কমিশনের বিধিবদ্ধ নিয়ম।
“কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীর বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাব। কমিশন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে”, বলেন জেলা প্রশাসক।