দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
Published : 16 Nov 2023, 12:22 AM
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এর ফলে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বুধবার বিকালে বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। বর্তমানে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিনে আছেন।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের বার্তা জাহাজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ জাহাজ ঘাটের একজন কর্মচারী জানান, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে ১৩২ জন, আটলান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়ায় করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন।
বিকালে তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত এলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাতযাপনের জন্য ছিলেন দেড় শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “হঠাৎ করে সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন। বুধবার বিকাল থেকে আবহাওয়া গুমোট হয়ে আছে। সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। সন্ধ্যার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।”
কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. শাহ আলম বলেন, বর্তমানে এ নৌপথে চারটি জাহাজ চলাচল করে। অবরোধের কারণে পর্যটক কমে যাওয়ায় দৈনিক তিনটি জাহাজ চলাচল করছিল। বর্তমানে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পর্যটক পরিবহন বন্ধ রেখেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ, স্পিডবোট, কাঠের বোট বা যেকোনো জলযান চলাচল পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত সব পর্যটককে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”