“তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে জানিয়েছে, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই,” বলছে পুলিশ।
Published : 09 May 2024, 06:50 PM
রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতাল সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি গাড়ির মালিক পক্ষের কারও কোনো অভিযোগ নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষও ঘটনাটিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, এক দেহরক্ষীর অস্ত্র থেকে ‘অসাবধানতাবশত’ ওই গুলি বেরিয়ে যায় এবং এতে স্কুল কমিউনিটির ওপর ‘কোনো প্রকার হুমকি নেই’।
ভাটারা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “ঘটনার পর ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির দুই পক্ষকেই ডেকে কথা বলেছি।
“তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে জানিয়েছে, তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।”
বৈধ অস্ত্র থেকে গুলি বেরিয়েছে এবং প্রকৃত লাইসেন্সধারী অস্ত্রটি ব্যবহার করছে জানিয়ে ওসি বলেন, “কেউ হতাহত না হওয়ায় অভিযোগের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়নি।”
এভারকেয়ার হাসপাতাল সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকার সামনে বুধবার গুলির শব্দে আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্কুলের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর শটগান থেকে ‘মিস ফায়ার’ হয়।
ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি গাড়ি দেখা যায়। একটি গাড়ির বডিতে গুলির ছিদ্র এবং পাশের আরেকটি গাড়ির কাচ ভাঙা দেখা যায়।
গুলির পর স্কুলের অভিভাবকরা কিছু সময় বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর কাছে অস্ত্র রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন।
ভাটারা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীকে স্কুলে আনার পর ছুটি না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা স্কুলের সামনেই অবস্থান করেন। এসময় এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে অপর নিরাপত্তারক্ষী সময় কাটায়, ফলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ওই সময়ের মধ্যে ‘মিস ফায়ার হয়েছে’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
স্কুল যা বলছে
স্কুলের সামনে গুলির ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকার অ্যাডমিশন্স এন্ড মার্কেটিং পরিচালক অ্যানি আরিফর এক বিবৃতি দিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়, “বুধবার অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টায় স্কুলের পার্কিং লট সংলগ্ন অংশে দুর্ঘটনাবশত গুলি চালানোর খবর পাওয়া যায়। আমরা সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ সময় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
এক শিক্ষার্থীর দেহরক্ষীর অস্ত্র থেকে ‘অসাবধানতাবশত’ গুলি হয় জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা এবং স্কুল কমিউনিটির ওপর কোনো প্রকার হুমকি বলবৎ নেই।
“এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কিছু নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বা সংলগ্ন অংশে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধু প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীদের নিতে আসা ন্যানিদের (আয়া) পিকআপের জন্য নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।”
দেহরক্ষীদের স্কুল প্রবেশদ্বারের বাইরে অবস্থান করতে হবে জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, “এ ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য দেহরক্ষী মোতায়েনের যৌক্তিকতা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই অভিভাবকদের।”
আরও পড়ুন-