আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রচারণা চলবে বলে জানা যায়।
Published : 10 Nov 2022, 07:41 PM
বান্দরবানের লামায় বন্য হাতির আক্রমণের বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক ও সচেতন করতে প্রচারণা শুরু করেছে বন বিভাগ।
বন্য হাতির আক্রমণ এড়িয়ে চলতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লামা পৌর এলাকায় মাইকিং শুরু হয়।
শুধু পৌর এলাকায় নয়, উপজেলার গজালিয়া, সরই, ইয়াংছা, ফাইতং ও ফাঁসিয়াখালী এলাকায়, যেখানে হাতি বিচরণের জায়গা আছে সেখানেই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে বন বিভাগ।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রচারণা চলবে বলে জানা যায়।
গত ৪ নভেম্বর লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে দুজন নিহত হন। এর দুই দিন পর অর্থাৎ ৭ নভেম্বর ফাইতং ইউনিয়নে নিহত হন আরও একজন।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ সময়টাতে পাহাড়ের মাঝখানে ফসলের চাষাবাদ করা হয়। যেখান দিয়ে সব-সময় বন্য হাতি চলাচল করে। এমনিতে এক সময় এগুলো বন্য হাতি চলাচলের জায়গাই ছিল। অনেক সময় তারা ফসলের লোভে অথবা সেসব জায়গায় চলাচল করলে মানুষের মুখোমুখি হয়।
‘‘বাঁধা পেলে এবং স্থানীয় লোকজন তাদের উত্ত্যক্ত করলে অনেক সময় তারা আক্রমণ করে বসে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সচেতনতামূলক মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
আরিফুল হক বেলাল জানান, যেসব এলাকায় হাতি আছে, সেসব এলাকায় চলাচলের সময় সতর্ক থাকতে হবে; দলবদ্ধ থাকতে হবে। হাতি এলে কোনোভাবেই উত্ত্যক্ত করা যাবে না। তারা আবার আপন গতিতে চলে যাবে। আক্রমণ না করলে হাতি কখনও হিংস্র হয় না। ফসলে ক্ষতির আশঙ্কায় কেউ যেন হাতির ওপর আক্রমণ না করে; প্রচারণায় এসব বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
বন্য হাতির মাধ্যমে ফসলের ক্ষতি হলে সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার, হাতির আক্রমণে আহত ব্যক্তিকে ১ লাখ এবং প্রাণহানির ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
লামা উপজেলার অনেক এলাকা হাতি চলাচলের জায়গা পড়েছে জানিয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্য হাতির মূল আবাস্থল কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ডুলহাজরা, কচ্ছপিয়া, হারবাং ও চুনতি অভয়ারণ্য এলাকার।
“এ ছাড়া বান্দরবানের সদর উপজেলার টংকবতি ও চট্টগ্রামের লোহাগারার পদুয়া এলাকায় কিছু বন্য হাতি আছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে তারা এক জায়গায় থাকে না। খাবার সন্ধানে অন্য এলাকায়ও বিচরণ করে।”