শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ হত্যাকাণ্ডের দুদিনের মাথায় প্রথম আসামি হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামি আবুল হোসেনকে বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিম-২-এর বিচারক সুমন ভূঁইয়ার আদালতে হাজির করে জবানবন্দির আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবাশীষ দেব।
পরে সন্ধ্যার দিকে বিচারক আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ‘ছিনতাইকারীদের’ ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। সঙ্গে থাকা এক ছাত্রীর ভাষ্য, তিনজন মাস্ক পরা লোক এসে বুলবুলকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খুনের ঘটনায় তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করে। এর আগেই বুলবুলের সহপাঠীরা আন্দোলনে নেমে খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেয়। হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় সোমবার রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার ও দুজনকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের টিলারগাঁও এলাকার বাসিন্দা আনিছ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (১৯) ছাড়াও গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- একই এলাকার মো. গোলাব আহমেদের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৯) এবং তছির আলীর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৯)।
দুপুরে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, আটক, জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে জানাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানায় করা এক সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশ জানিয়েছিল, ‘ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতেই’ শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ নিহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় প্রথম আটক করা হয় আবুল হোসেনকে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাকি দুজনকে আটক করা হয়।
পরে কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার টিলারগাঁওয়ের বাসা থেকে বুলবুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। কামরুল নিজে এগুলো বের করে দেন।
আরও পড়ুন: