তাদের বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলাগাঁও এলাকায়, পাশাপাশি।
Published : 27 Jul 2022, 01:14 PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান জানান।
আটকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের টিলারগাঁও এলাকার মো. গোলাব আহমেদের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৯), আনিছ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (১৯) ও তছির আলীর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৯)।
তাদের বাড়ি পাশাপাশি বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, “আটক কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার টিলারগাঁওয়ের বাসা থেকে বুলবুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
“কামরুল নিজে এগুলো বের করে দেন।”
ওসি নাজমুল, “গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।”
এর আগে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের একজন হত্যায় জড়িত, যার বক্তব্যের ভিত্তিতে নতুন তিনজনকে আটক করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি নাজমুল।
সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী সঙ্গে ছিলেন।
ওই ছাত্রীর ভাষ্য, তিনজন মাস্ক পরা লোক এসে বুলবুলকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার এই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সদস্যরা।
খুনের ঘটনায় তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করে। এর আগেই বুলবুলের সহপাঠীরা আন্দোলনে নেমে খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেয়।
হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় সোমবার রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বুলবুলের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।