যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
Published : 11 Feb 2023, 07:23 PM
ভোলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুর ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির পদযাত্রায় এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম।
২টা পর্যন্ত আহত তিন নেতা-কর্মীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন নেতা-কর্মীদের দেখতে দুপুরে হাসপাতালে যান রাইসুল আলম।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
ভোলার ভেলুমিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. ফারুক গাজী।
তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাকে ভেলুমিয়া বাজারে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তবে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাস্টার জানান, বিএনপির উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
ভেলুমিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কোনো পদযাত্রা নেই বলেও দাবি তার।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীমউদ্দিন ফরিদ।
তিনি জানান, পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সর্দারের লোকজন সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়নের নয়া মিয়ার হাট বাজারে ওষুধের ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কুপিয়ে জখম করেন। তার মাথায় ৪৮টি সেলাই লেগেছে বলে দাবি জসীমউদ্দিনের।
একই অভিযোগ করেছেন পক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী মাওলানা মোসলেউদ্দিন।
তিনি জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা বিনষ্ট করতে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকেসহ ৭/৮ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সর্দারকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপি নেতা রাইসুল আলম বলেন, “শনিবার সকালে ধনিয়া ইউনিয়নে বিএনপির একটি মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।”
এ পর্যন্ত জেলায় দলের ৮০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে এসব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, বিএনপির পদযাত্রায় সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে দুপুর আড়াইটার পর্যন্ত সদর উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।