“আমাদের ধারণা, এই শিশু সন্তানটি ওই পাগলী নারীরই হবে।”
Published : 28 Feb 2024, 09:48 PM
সবেমাত্র সন্ধ্যা নেমেছে; চারিদিকে শোরগোল কমে এসেছে। তখনই হঠাৎ শিশুর কান্নার শব্দ শুনে পাশের বাড়ি থেকে ছুটে এলেন এক নারী। দেখলেন, একটি ঝুপড়ি ঘরে সদ্য ভূমিষ্ট এক শিশু কাঁদছে। তাকে দ্রুত নেওয়া হলো উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের উত্তর পাশ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ফরিদপুরের এক নিঃসন্তান দম্পতি শিশুটি লালনপালনের জন্য নিয়ে গেছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, মেহেরুন বেগম নামে এক গৃহিনী ঝুপড়ি ঘরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান। পরে সেখানে গিয়ে একটি সদ্য ভূমিষ্ট একটি ছেলেকে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে খবর পেয়ে তিনি গিয়ে তার শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ইউএনও বলেন“এ খবর ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিশুটির দায়িত্ব নিতে কোটালীপাড়া ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার দশ দম্পতি আমার কার্যালয়ে ছুটে আসেন।
“তাদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে ফরিদপুর সদরের ব্যবসায়ী নিঃসন্তান এক দম্পতির হাতে সন্তানটিকে তুলে দেওয়া হয়।”
গৃহিনী মেহেরুন বেগম বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাড়ির পাশের একটি ঝুপড়ি ঘরে শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে আমি ওখানে ছুটে যাই। সাথে সাথে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই।”
বান্দল গ্রামের বশির আহম্মেদ বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় একজন অন্তঃসত্ত্বা পাগলী নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। সে অধিকাংশ সময়ই ওই ঝুপড়ি ঘরে থাকতো।
“আমাদের ধারণা, এই শিশু সন্তানটি ওই পাগলী নারীরই হবে।”
ওই নিঃসন্তান দম্পতি বলেন, “আমাদের সন্তান নেই; কোনোদিন আমরা মা-বাবা হতেও পারবো না। আমরা শিশুটিকে পেয়ে খুবই আনন্দিত।”