কুমিল্লার লাকসামে ‘মানব পাচারকারীদের’ হাত থেকে ছয় মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে লাকসাম জংশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে লাকসাম থানার ওসি মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান।
এ ঘটনায় রোববার সকালে লাকসাম থানায় মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা ছাত্ররা শিশু-কিশোর হওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গ্রেপ্তাররা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার দামুরপাড় গ্রামের মো. মোবারক হোসেন (৫০) এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের ইমন খান ওরফে জিলন রায়হান (২৭)।
ওসি আবদুল্লাহ জানান, গোপন খবর পেয়ে শনিবার লাকসাম জংশন এলাকার অভিযান চালানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মোবারক হোসেন ও ইমন খানকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ছয় শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
‘পাচারকারীরা’ এ শিশুদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসেন বলে জানান ওসি।
আটক দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে আবদুল্লাহ আরও বলেন, “মোবারক ও ইমন খান পাচারকারী দলের সদস্য। তারা পঞ্চগড়, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে প্রথমে নিজেদের কব্জায় নেয়।
“পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন। উদ্ধার করা শিশুদের কীভাবে পাচার করা হতো সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়ায় এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে আটক দুইজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও একজনকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন।
এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে লাকসাম থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান জানান।