২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক ওই মেয়র অভিযুক্ত বলে জানান এপিপি।
Published : 22 Nov 2023, 11:33 PM
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান।
সহিদুর রহমান বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার উচ্চ আদালত থেকে সহিদুর জামিন পান বলে জানান টাঙ্গাইল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান।
সহিদুর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে। তার ভাই আমানুর রহমান খান রানা ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
এপিপি মনিরুল বলেন, হত্যা মামলায় ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন সহিদুর। পরে মামলার বাদী অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে একই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত জামিন বাতিলের আদেশ দেয়; এরপর থেকে সহিদুর কারাগারে ছিলেন বলে জানান তিনি।
মামলার বরাতে এপিপি আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি কলেজপাড়ায় নিজ বাসার পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের অগাস্টে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যান।
পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ আমানুর রহমান খান ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী মনিরুল।