Published : 09 Jan 2023, 06:52 PM
সিলেটের সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ফারাজানা হক মিলির (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় নিহত মিলির বড় রুমানা হক সোহেলী বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলাটি করেন বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাহের।
তিনি আরও জানান, সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিলির স্বামী নূর আলমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার লাশ উদ্ধারের সময় নূর আলমকে আটক করা হয়েছিল।
পরিবার জানায়, প্রায় চার বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ার কাপন গ্রামের মো. আশকর আলীর ছেলে মো. নূর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। তারা সিলেট নগরীর তেলিহাওর এলাকার সিলভ্যালি টাওয়ারে থাকতেন।
মিলির বড় ভাই সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক আমিনুল হক সিপন বলেন, “নূর আলম আমার বোনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ছয় লাখ টাকা তুলে অনলাইনে জুয়া খেলেছেন। এ ছাড়া মিলির ব্যবহৃত স্বর্ণ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে জুয়া খেলেছেন। এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রায়ই মিলিকে মারধর করা হতো।“
মামলায় অভিযোগ করা হয়, “নূর আলম জুয়া ও নেশায় আসক্ত। তিনি প্রায়ই মিলিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। মারধর করে তিনি মিলির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে যান। জিন্দাবাজারের একটি জুয়েলার্সে মিলির স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ঋণ নেন।”
“৪ জানুয়ারি মিলিকে ৫ হাজার টাকা দিতে বলেন নূর আলম। তখন মিলি অপরাগতা জানায়। তখন নূর আলম শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে মিলিকে আত্মহত্যার প্ররোচণা দেন। নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মিলি তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন।”
মামলার বাদী সোহেলী অভিযোগে আরও বলেন, খবর পেয়ে তিনি দরজা খোলার চেষ্টা করতে নূর আলমকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে নূর আলম কর্ণপাত করেননি।
একপর্যায়ে সোহেলী তার স্বামী রিপন খানকে দিয়ে দরজা খোলার উদ্যোগ নিলে আবারও নূর আলম বাধা দেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায় বলে মামলায় বলা হয়।