টেনিস: মাদ্রিদ ওপেন
Published : 04 May 2025, 05:36 PM
প্রথম সেটে এক তরফা লড়াই। পরের সেটে লড়াইটা হলো হাড্ডাহাড্ডি। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেরে উঠলেন না কোকো গাউফ। তাকে হারিয়ে আরেকবার মাদ্রিদ ওপেনের শিরোপা জিতলেন আরিনা সাবালেঙ্কা।
রোমাঞ্চকর ফাইনালে শনিবার প্রথম সেট অনায়াসে জিতে নেন মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেটে ৩-০ থেকে ৩-৩ করে ফেলেন গাউফ। একসময়ে ৫-৩-এ এগিয়েও যান যুক্তরাষ্ট্রের তারকা। এরপর আর পেরে ওঠেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৬-৩, ৭-৬ (৭-৩) গেমে জিতে আনন্দে মাতেন বেলারুশের তারকা সাবালেঙ্কা।
চার গ্র্যান্ড স্ল্যামের বাইরে টেনিস ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টগুলোর একটি মাদ্রিদ ওপেনে ২৬ বছর বয়সী সাবালেঙ্কার এটা তৃতীয় শিরোপা। এখানে নারী এককে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে চেক রিপাবলিকের পেত্রা কেভিতোভার পাশে বসলেন তিনি।
নারী-পুরুষ মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে তাদের চেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন কেবল স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল, পাঁচটি।
২০২৫ সালে প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে সাবালেঙ্কা আটটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ছয়টিরই ফাইনালে খেললেন, তিনটিতে জিতলেন শিরোপা। এর আগে তিনি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন ব্রিজবেন ও মায়ামি ওপেনে। এছাড়া রানার্সআপ হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও স্টুটগার্টে।
২০১৩ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে একই বছরে মায়ামি ও মাদ্রিদ ওপেন জয়ের কীর্তি গড়লেন সাবালেঙ্কা।
সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকার।
“সত্যি বলতে, (ছয়টি ফাইনালে ওঠা) পাগলাটে ব্যাপার… আমি কঠোর পরিশ্রম করি এবং জানি, যদি আমার সেরাটা মেলে ধরতে পারি ও প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়াই করি, তাহলে সেটা (ফাইনালে ওঠা) করতে পারব।”
“এটা স্বপ্নের মতো। আশা করি, আমি যা করছি, তা করে যাব এবং এখন যেভাবে খেলছি, সেভাবেই খেলব।”
মাদ্রিদ ওপেনে এর আগে ২০২১ ও ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিলেন সাবালেঙ্কা। গত বছর ফাইনালে তিনি হেরেছিলেন ইগা শিয়াওতেকের বিপক্ষে।
এবার সেমি-ফাইনালে শিয়াওতেককে ৬৪ মিনিটে উড়িয়ে দিলেও ফাইনালে আর পারলেন না ২০২৩ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন গাউফ।