Published : 03 May 2025, 09:36 PM
শিরোপার হাতছানিতে মাঠে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হলো না বায়ার্ন মিউনিখের। প্রথমার্ধেই হজম করে বসল দুই গোল। সেখান থেকে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়ে, দ্বিতীয়ার্ধের দাপুটে পারফরম্যান্সে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগাল তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল করে আবার সবকিছু বদলে দিল লাইপজিগ।
রেড বুল অ্যারেনায় শনিবার বুন্ডেসলিগার নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। বেনিয়ামিন সেসকো ও লুকাস ক্লস্টারমানের নৈপুণ্যে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাইপজিগ। পরে এরিক ডায়ার, মাইকেল ওলিসে ও লেরয় সানের গোলে আগেভাবে শিরোপা নিশ্চিতের আশা জাগায় বায়ার্ন। কিন্তু শেষ মিনিটে তাদের অপেক্ষা বাড়ান পলসেন।
দুই ম্যাচ হাতে রেখে বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত করার সম্ভাবনা অবশ্য এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ফ্রেইবুর্কের মাঠে রোববার বায়ার লেভারকুজেন পয়েন্ট হারালেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মিউনিখের দলটি।
শিরোপার সুবাস নিয়ে মাঠে নেমে একাদশ মিনিটেই গোল হজম করে বায়ার্ন। বক্সের বাইরে থেকে শটে লাইপজিগকে এগিয়ে নেন সেসকো।
এরপর ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো বিরতির আগে আরও পিছিয়ে পড়ে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। ৩৯তম মিনিটে সতীর্থের ফ্রি কিকে হেডে স্কোরলাইন ২-০ করেন ক্লস্টারমান।
কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় এদিন মাঠে নামতে পারেননি হ্যারি কেইন। দলের এভাবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গ্যালারিতে তার হতাশায় ভরা মুখ টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। টানা আক্রমণে দ্রুত সাফল্যও পেয়ে যায়; তাদের দুই মিনিটের দুই গোলে লড়াই নতুন মোড় নেয়।
৬২তম মিনিটে ওলিসের কর্নারে হেডে ব্যবধান কমান ডায়ার। এরপর সের্গে জিনাব্রির হেড পান প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই বাঁ পায়ের শটে সমতা টানেন ফরাসি মিডফিল্ডার ওলিসে।
চালকের আসন থেকে এভাবে ছিটকে পড়ায় যেন আত্মবিশ্বাসে চোট লাগে লাইপজিগের। তাদের ওপর চাপ ধরে রেখেই ৮৩তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করে বায়ার্ন। জসুয়া কিমিচের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল কোনাকুনি শটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড সানে।
গোলটির পর আবার টিভি ক্যামেরায় ভেসে ওঠে কেইনের মুখ, তবে এবার সেখানে উজ্জ্বল হাসি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথম শিরোপার আশা যে তখন অনেকটাই উজ্জ্বল।
যদিও তার সেই উচ্ছ্বাস স্থায়ী হয়নি। যোগ করা সময়ের চার মিনিটের মাথায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি শটে কেইন ও তার সতীর্থদের জয়ের হাসি কেড়ে নেন ডেনমার্কের ফরোয়ার্ড পলসেন।
৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৩৩ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের পয়েন্ট হলো ৭৬। এক ম্যাচ খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বায়ার লেভারকুজেন।
৩২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে লাইপজিগ।