Published : 07 Jul 2023, 01:23 PM
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুইটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে এপিবিএন ও পুলিশ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘সন্ত্রাসী’দের মধ্যে এ গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
নিহতরা হলেন ৮ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দুল হামিনের ছেলে মো. হামিম (২১), মৃত আব্দুল কাসিমের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার সাদেক (২৩), ১০ নম্বর ক্যাম্পের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে নজিবুল্লাহ (৩২), ৩ নম্বর ক্যাম্পের বৈদ্য বশরের ছেলে নুরুল আমিন (২২) এবং অজ্ঞাত পরিচয় একজন।
ফারুক আহমেদ বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় ভোরে দুটি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থলে তিন জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী আইএমও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় ওয়ান শুটার।”
ঘটনাস্থলে নিহতদের মধ্যে দুই জন হলেন, ৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬)। অপর একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান, ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বি-১৭ ব্লকের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৪২ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ (২৮)।
বেলা ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান বলে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিহত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানায় আনা হয়েছে। অপর দুই জনের মরদেহও হাসপাতাল থেকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার পর কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ এপিবিএন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তায় জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এপিবিএন-এর দাবি, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) এর মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আর নিহতরা সবাই আরসার সদস্য।