টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদ বেষ্টিত ৫৪ কিলোমিটার সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
Published : 25 Mar 2024, 12:35 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে আবারও গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাতে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছে, উপজেলার হ্নীলা, শাহ পরীর দ্বীপ ও হোয়াইক্যংয়ের নাফ নদ সীমান্ত এলাকায় রোববার রাত থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে গত কয়েক মাস ধরে। তার আঁচ লাগছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশেও।
এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদ বেষ্টিত ৫৪ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর কবির বলেন, “কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর রোববার রাত থেকে মিয়ানমারে আবারও সংঘর্ষ চলছে। হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়া বাজার, মিনা বাজার, কানজর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তে বিকট শব্দ ভেসে আছে। সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশের বলি বাজার, কেয়ারিপ্রাং, পেরাংপুরু, নলবিলাসহ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল ছোড়ার শব্দ আসছে এপারে।
হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকেও মর্টারশেল ও ভারী গুলির শব্দ আসছিল সীমান্তের ওপার থেকে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে নাফ নদীর সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
একই কথা বলেছেন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ জেটির ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, শাহ পরীর দ্বীপ থেকেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলে ও চাষিদের মধ্যে।
হোয়াইক্যং সীমান্তের কৃষক আবুল ফয়েজ বলেন, “গোলার শব্দে মনে হচ্ছে মাটি খুঁড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।”
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের সতর্ক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।