“আমি আমার নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং এই বিজয় তাদেরকেই উৎসর্গ করছি।”
Published : 09 Mar 2024, 11:34 PM
নিজেকে উজার করে দিয়ে নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
শনিবার রাতে বিজয় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় টিটু বলেন, “আমি আমার নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং এই বিজয় তাদেরকেই উৎসর্গ করছি। তারা যে আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমাকে সন্মানিত করেছেন, সেটা আমি সর্বোচ্চটুকু উজার করে দিয়ে বাস্তবায়ন করব।”
শনিবার দিনভর ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ১২৮টি কেন্দ্রে ইকরামুল হক টিটু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।
এ ছাড়া অপর তিন প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট, হরিণ প্রতীকের রেজাউল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির শহীদুল ইসলাম লাঙল প্রতীকের পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।
বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ের পর প্রথম কাজ হিসেবে টিটু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রথমেই যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্থকরণ ও বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরে কার্যকরী ভূমিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি নগরীর যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয় সেটা দূর করা এবং নগরীর জন্য টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগটা নেবেন বলে জানিয়েছেন। বলেন, “এগুলো আমাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।”
নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যাপারে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এখানে হার-জিত থাকবেই। এটা মেনে নিয়েই সবাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
“আজকে নির্বাচন শেষ; আমাদের যে অধ্যায় সেটি এখানেই শেষ। হয়তো সাময়িক কিছুটা মনের কষ্ট থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে সেটি ভুলে গিয়ে দেশের প্রয়োজনে, দলের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থেকে নগরীর উন্নয়নে কাজ করব”, বলেন টিটু।
ইকরামুল হক টিটু ১৯৯৯ সালে ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথমবার কমিশনার হয়ে ময়মনসিংহ পৌরসভায় প্রবেশ করেন। এরপর ৪৮ বছরের টিটু আড়াই দশক ধরে দুবার কমিশনার, দুবার পৌরসভার মেয়র ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই দীর্ঘ সময়ে কখনও তাকে নির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়নি। অপরাজিত থেকেই তিনি ২০২৯ সাল পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য জনগণের রায় পেলেন।