তিন-চার ঘণ্টা বিরতির পর বেলা ১১টার দিকেও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য।
Published : 16 Feb 2024, 12:43 PM
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করলেও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শোনা গেছে ভারী গোলাগুলির শব্দ।
শুক্রবার সকাল ৭টার পর থেকে নাফ নদীর ওপারে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর জেলেসহ স্থানীয়রা।
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে পরপর দুইটি ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। এতে বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর তিন-চার ঘণ্টা বিরতির পর সকাল ১১টার দিকেও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে রাখাইন রাজ্যের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি বিজিপি ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে এমন খবর আসছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
আব্দুস সালাম জানান, এর আগে বৃহস্পতিবারও ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। অব্যাহত সংঘাতের কারণে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ থাকার পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খোরশেদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও গোলগুলির ভারী শব্দ শোনা গিয়েছিল সেন্টমার্টিন দ্বীপে। তবে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত গোলগুলির শব্দ শোনা না গেলেও আতংকে রয়েছে দ্বীপবাসী।
স্থানীয় এ ইউপি সদস্য জানান, সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শাহ পরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, “মিয়ানমারে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে শুক্রবার সকালে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে উঠলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।”
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এত দূর থেকেও গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। সকালে দুটি বিকট শব্দ পাওয়া গেলেও ৮টার পর নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পুরনো খবর:
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের নৌপথে পাঠানোর প্রস্তুতি
মিয়ানমার থেকে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাখাইন থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ
মিয়ানমারে যুদ্ধ: পাল্টে গেল ঘুমধুমের সেই এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র
মিয়ানমারে যুদ্ধ: রাখাইনের যে খবর পাচ্ছেন ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা
১৬৫ বিজিপি গেল মিয়ানমারের জাহাজে, বিকালের মধ্যে বাকিদের হস্তান্তর