তিন মাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও তা না হওয়ায় গত ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত চান মোতালেব।
Published : 03 Aug 2023, 11:34 PM
চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুরের এক কলেজ অধ্যক্ষসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের চার ঘণ্টা পর তাদের জামিন দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বলে কোর্টের পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল জানান।
তবে এই আদেশের পর আসামিদের পক্ষে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য বিচারিক হাকিম এসএম হুমায়ুন কবির আবেদনটি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইকবাল মাহমুদের আদালতে পাঠান। সেখানে শুনানি শেষে বিকাল ৪ টার দিকে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আসামিরা হলেন জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা (৫২), প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন (৪২), অধ্যক্ষের আত্মীয় মো. শেখ জামাল (৪৩) এবং মো. হযরত আলী (৪৫)।
কোর্ট পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক বলেন, “আবেদনে আসামিদের সম্মানিত ব্যক্তি অধ্যক্ষ এবং প্রভাষক উল্লেখ করে বলা হয়, জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি ও অনার্সে ভর্তি কার্যক্রম চলমান এবং আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। তাছাড়া মামলার বাদীর অভিযোগের পক্ষে মামলার নথিতে কাগজপত্র নেই।”
এর আগে প্রথম আদেশের পর শহিদুল হক বলেছিলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ না করায় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের মো. মোতালেব মিয়াকে (২৩) জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন ও আত্মীয়ের সহযোগিতায় ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও তা না হওয়ায় গত ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত চান মোতালেব।
কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেননি।
আরও পড়ুন: