উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তারা।
Published : 03 Aug 2023, 05:00 PM
চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুরে এক কলেজ অধ্যক্ষ ও তার তিন সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বলে কোর্টের পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল জানান।
কারাগারে পাঠানো হয়েছে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা (৫২), একই কলেজের প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন (৪২), অধ্যক্ষের আত্মীয় মো. শেখ জামাল (৪৩) ও মো. হযরত আলীকে (৪৫)।
পরিদর্শক শহিদুল হক বলেন, “আসামিরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ না করে তা অমান্য করেছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার বরাতে শহিদুল আরও জানান, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. মোতালেব মিয়াকে (২৩) জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান অধ্যক্ষ শহিদুল। পরে এ পদের জন্য ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রভাষক আলফাজ ও অন্যদের সহযোগিতায় মোতালেবের কাছ থেকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন তিনি।
“তিনি মাসের মধ্যে মোতালেবকে চাকরিতে যোগদানের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে চাকরি না হওয়ায় মোতালেব চলতি বছরের ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন।”
এ ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ চার জনের নামে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
পরে আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আসামিরা আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেননি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন চলছে।