দুইজনের শরীরের ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনকে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।
Published : 27 Jul 2022, 01:37 PM
শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জব্দ অবৈধ জাল পোড়ানোর সময় তিনজন দগ্ধ হয়ে হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর জেরে সরকারের তিন কর্মকর্তাকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে প্রতিবাদ জানায় ক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বরগুনা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা অমিয় জ্যোতি সাইফুল্লাহ জানান, আগুনে দুইজনের শরীরের ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ এবং অন্য একজনের পাঁচ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আহতরা হলেন সদর উপজেলার ইলশাঘাট এলাকার ইনসার আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী, ধুইলতা মিয়ার ছেলে ছাউদ মিয়া ও শিয়ালু মিয়ার ছেলে জবেদ আলী।
বেশি দগ্ধ ইয়াকুব ও জবেদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর কম দগ্ধ ছাউদ মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা খায়রুল কবির সুমন জানিয়েছেন।
দগ্ধদের স্বজনরা জানান জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জ্বল হোসেনের নেতৃত্বে জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানা লায়লা তাসনীম ও সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মমতাজুন্নেছাসহ সংশ্লিষ্টরা অভিযানে ছিলেন।
অভিযানে চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালসহ ১০টি অবৈধ জাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেগুলো ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশাঘাট এলাকায় জড়ো করে পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ইয়াকুব, ছাউদ ও জবেদ পোড়াতে সহযোগিতা করেন। তারা পেট্রোল ছিটিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরার আগেই কেউ একজন জালে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তিনজন দগ্ধ হন।
এতে ক্ষুব্ধ জনতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সদর সার্কেলের মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, দগ্ধদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
“মৎস্য অফিস বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কেউ আগুন দেয়নি।”
‘অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে পুলিশ সুপার কর্মকর্তা মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানিয়েছেন।