চুরি করে ভাত খেতে আসায় বগুড়া সদর উপজেলায় এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের লাইলীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জেনেছেন সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী।
মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা সবার নজরে আসে।
পিটুনির শিকার যুবকের নাম সাব্বির হোসেন। তিনি উপজেলার বারোপুর লাইলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সাব্বিরের হাত ধরে আছেন এবং আরেকজন পেটাচ্ছেন। এক সময় দেখা যায় তাকে ঘিরে মানুষের জটলা সৃষ্টি হয়েছে এবং যে যার মতো তাকে পেটাচ্ছে। কেউ লাঠি দিয়ে, কেউ আবার কিল-চড়-লাথিও মারছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে একটি বাড়ির দোতলার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে ভাত চুরির চেষ্টা করছিল সাব্বির। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পেলে সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাকে ধরে ফেলে এবং ঘণ্টাখানেক মারপিটের পর ছেড়ে দেয়।
ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী নাজনীন আকতার বলেন, এর আগেও তার রান্নাঘর থেকে ভাত-তরকারি চুরি হয়েছে। কিন্তু তারা কাউকে ধরতে পারেননি। সোমবার রাতে সাব্বিরকে ধরতে পেরে পিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
তবে অন্যকিছু চুরি করতে নয়, ক্ষুধায় ভাত চুরি করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি সাব্বিরের।
তিনি বলেন, “বাসায় আমাকে কেউ খাবার দেয় না। আমি কোনো বিচারও চাই না। দোষ করেছি, ওরা বিচার করেছে।”
সাব্বির ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে জানান তার নানী। তিনি বলেন, “সে নেশাও করে। মাঝে মাঝে ভাত খেতে আসে। বাড়িতে ভাত থাকলে তাকে দিই। কিন্তু সামান্য ভাত চুরি করার জন্য যদি তাকে এভাবে মারপিট করা হয় তাহলে এই ঘটনার বিচার চাই।”
সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মারধরের ঘটনা সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।