ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং ও পাংখোয়া জনগোষ্ঠী কেএনএফের সঙ্গে জড়িত নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান।
Published : 28 Dec 2022, 10:02 PM
পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ ও ইসলামি জঙ্গির সঙ্গে কোনো কার্যকলাপে বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পাঁচ জনগোষ্ঠীর কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তাদের নেতারা।
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং ও পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর নেতারা তাদের বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লুসাই জনগোষ্ঠীর অধ্যাপক থানজামা লুসাই, ম্রোদের প্রতিনিধি জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো, থানচির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো, খিয়াংদের ম্রাসা খিয়াং, খুমী জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি জেলা পরিষদ সদস্য সিংঅং খুমী ও উন্নয়নকর্মী লেলুং খুমী বক্তব্য দেন।
বক্তাদের কথা উঠে আসে, সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন আবির্ভূত হয়েছে। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তিনটি পার্বত্য জেলার বম, পাংখোয়া, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং জাতির সমন্বয়ে এই সশস্ত্র সংগঠন গঠিত হয়েছে।
কেএনএফের এই বক্তব্য অসত্য বলে দাবি করেন পাঁচ জনগোষ্ঠীর নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে এই পাঁচ জনগোষ্ঠীর নেতারা আরও বলেন, পাংখোয়া, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয় এবং কেএনএফ এইসব জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে কখনো কুকিচিন রাজ্য, কখনো বা খ্রিস্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধিতা করে এবং বান্দরবান জেলার সাধারণ জনগণ ও জনমতকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে জাতিগত বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
জঙ্গি আর পাহাড়ি দলের মিলে যাওয়ার বিপদ যেখানে
জঙ্গিদের সঙ্গে বম পার্টির যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেএনএফ কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণ, জুমচাষিরা কোনো কাজকর্ম করতে পারছে না বলেও বক্তারা অভিযোগ করেন।
তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কেএনএফ – দুদিকের চাপ সহ্য করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন বক্তারা।
বান্দরবান শহরে অরুণ সারকি টাউন হলে ‘বান্দরবান শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
বান্দরবানে ২০২২ সালের শুরুর দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন সক্রিয় হয়ে ওঠার খবর পাওয়া যায়। এই সংগঠন পাহাড়িদের কাছে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
নতুন জঙ্গি দলের ‘পাহাড়ি যোগ’ পেয়েছে র্যাব
পাহাড়ে সশস্ত্র দল; এই ‘বম পার্টি’ কারা?
গত অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন সেনা ও র্যাব সদস্যরা। অভিযানের কারণে বান্দরবানের দুই উপজেলা রোয়াংছড়ি ও রুমায় এখনও অনির্দিষ্টকালের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।