“কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল না। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে।”
Published : 03 May 2024, 10:44 PM
গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে আসে। এরপর ৪টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে টাঙ্গাইল কমিউটারের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়; দুটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ লাইনচ্যুত হয় দশটি বগি। এরপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বেলা দেড়টার দিকে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
স্টেশন মাস্টার বলেন, “টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে সিগনাল ম্যানের ভুলের কারণে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী ছিল না। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। তবে কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (চালক) চারজন আহত হয়েছেন।”
উদ্ধার কাজ কখন শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
এদিকে দুর্ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় এক স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন-ছোট দেওড়া এলাকায় আবগোমটি ঘরের স্টেশন মাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ঘটনার পর থেকে তারা পালাতক রয়েছেন বলে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানিয়েছেন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
আরও পড়ুন: