শান্তিপূর্ণ সমাধান হলে সহিংসতায় যাবে না সেনাবাহিনী, বান্দরবানে সেনাপ্রধান

“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছুর সমাধান চাই। তবে কেউ মরণকামড় দিলে আমরাও প্রতিহত করব, এটিই স্বাভাবিক।”

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2023, 05:04 PM
Updated : 4 June 2023, 05:04 PM

কেউ দেশ ও জনগণের ক্ষতি করতে চাইলে তা প্রতিহতে প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্ত অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

যে সমস্যা শান্তিতে সমাধান সম্ভব সেটার জন্য সেনাবাহিনী সহিংসতায় যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন পরিদর্শনে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত পাহাড়ি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় স্পেশাল অপারেশন পরিচালনা করতে হয়েছে। সন্ত্রাসীদের তৎপরতা এত বেড়েছে যে কিছু সেনা সদস্যকেও আমরা হারিয়েছি। এরপরও অপারেশন চলমান রেখেছি। সেসবই সরেজমিনে দেখতে এসেছি। যে সাহসিকতা নিয়ে আমাদের অফিসার ও সৈনিকরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে আমি আশাবাদী। যে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ অপারেশন করছি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।”

তবে শক্ত অবস্থানে যাওয়া সেনাবাহিনীর প্রাথমিক লক্ষ্য না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছুর সমাধান চাই। তবে কেউ মরণকামড় দিলে আমরাও প্রতিহত করব, এটিই স্বাভাবিক।”

এ সময় ইম্প্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, “মাটির নিচে কোথায় আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছে তা শনাক্ত করা খুবই কঠিন। জঙ্গলাকীর্ণ সড়কে রাতের অন্ধকারে বের হওয়া তাই কঠিন। এ বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে চেষ্টা করছি সক্ষমতা বাড়াতে। আইইডি শনাক্তে প্রয়োজনে ডগ স্কোয়াডসহ অন্যান সামগ্রী ব্যবহার করা হবে। আমি আশা রাখছি ভবিষ্যতে আইইডিতে হতাহতের সংখ্যা কমে আসবে।”

অনেক দুর্গম অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কেএনএফ যদি এই মুহূর্তে আত্মসমপর্ণ করতে চায় বা আলোচনায় বসতে চায় তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন।

তিনি বলেন, “কেউ যদি আসতে চায় তাদের স্বাগত। শান্তিতে যা সমাধান হবে সেটার জন্য  সহিংসতায় কেন যাব?”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খুবই মানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। এটি আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি। জাতিসংঘে অনেকদিন ধরে আমরা এক নম্বর শান্তিরক্ষাকারী দেশ। এটি অর্জনের পেছনে যতগুলো গুণাবলি আছে তার মধ্যে অন্যতম মানুষের প্রতি দরদ ও সহশীলতা।”

এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার, বিজিবি মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।