Published : 21 Dec 2023, 04:17 PM
রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় এবং জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাধেঁর ১৬টি গেইট।
শুক্রবার সকাল ১০টায় কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই স্পিলওয়েগুলো খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক এটিএম আবুজ্জাহের।
তবে পানি ছাড়ার কারণে ভাটিতে কর্ণফুল নদীর পাড়ে অবস্থিত চট্টগ্রামের একাধিক উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, সেই কারণে গেইট পুরোটা না খুলে ছয় ইঞ্চি খোলা হয়েছে।
ব্যবস্থাপক আবুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদের ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মীন সি লেভেল)। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭.৫৪ এমএসএল। যাতে বড় ধরনের বিপদ তৈরির ঝুঁকি ছিল।
“তাই আমরা শুক্রবার সকালে হ্রদের পানি ছেড়ে দিয়েছি। ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার ফলে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির চাপ বাড়লে গেটের খুলে দেওয়া অংশ আরও বাড়ানো হতে পারে।”
টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে মৌসুমের শেষে এসে হ্রদে এভাবে পানি বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এর কারণে বন্যার উদ্ভবও হয়েছে।”
পানি ছাড়ার আগেই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জানান হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পানি ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পানি ধীরে ছাড়া হচ্ছে, যেন ভাটি অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।”
১৯৬২ সালে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় পানিশক্তি দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কর্ণফুলি নদীর নির্ধারিত স্থানে ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫.৭ মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করে সঞ্চিত পানির বিরাট জলাধার সৃষ্টি করা হয়। যা কাপ্তাই হ্রদ নামে পরিচিত।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]