বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
Published : 07 May 2024, 02:39 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৯
শঙ্কা ছাপিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
ফারাজ আকরামের ঝড়ে শেষ দিকে আশা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। শঙ্কা ছাপিয়ে ৯ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
তাওহিদ হৃদয়ের ৫৭ ও জাকের আলির ৪৪ রানের সৌজন্যে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ খেলতে ঢাকায় ফিরবে দুই দল।
আরও একবার হতাশ করে জিম্বাবুয়ের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। পঞ্চাশের আগে ৪ ও একশর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় সফরকারীরা।
নবম উইকেটে ৫৪ রানের জুটিতে আশার আলো দেখান ফারাজ ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। কিন্তু কাজ শেষ করতে পারেননি তারা। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন ফারাজ।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৪২ রান। রিশাদ হোসেন ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (লিটন ১২, তানজিদ ২১, শান্ত ৬, হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬*; ফারাজ ৪-০-৪৪-১, মুজারাবানি ৪-০-১৪-৩, রাজা ৪-০-৩৮-১, মাসাকাদজা ৪-০-৩৪-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৩-০)
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৯ (গাম্বি ৯, মারুমানি ৩১, বেনেট ৫, আরভিন ৭, রাজা ১, মাডান্ডে ১১, ক্যাম্পবেল ২১, জঙ্গুয়ে ২, মাসাকাদজা ১৩, ফারাজ ৩৪*, মুজারাবানি ৯*; তানভির ৪-০-২৬-১, তাসকিন ৪-০-২১-১, সাইফ উদ্দিন ৪-০-৪২-৩, তানজিম ৪-০-২৬-১, রিশাদ ৩-০-৩৮-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১-১)
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী
ফারাজ-মাসাকাদজার জুটিতে পঞ্চাশ
শেষ দিকে লড়াই জমালেন ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়লেন পঞ্চাশ রানের জুটি। স্রেফ ২৫ বলে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে নবম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। জিম্বাবুয়ের রেকর্ডও এটি।
১৮.২ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪২ রান। শেষ ১০ বলে ২৩ রান প্রয়োজন তাদের।
ফারাজ ১৫ বলে ৩০ ও মাসাকাদকা ১২ বলে ১২ রানে খেলছেন।
জঙ্গুয়েকে ফেরালেন রিশাদ
রিশাদ হোসেনের গুগলি পড়তে পারলেন না লুক জঙ্গুয়ে। বল তার প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি ৩ বলে ২ রান করা জঙ্গুয়ে।
৯১ রানে ৮ উইকেট নিয়ে বড় জয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ আকরাম।
জোড়া ছক্কার পর ক্যাম্পবেলের অক্কা
তানভির ইসলামের বলে পরপর দুই ছক্কা মেরেও থামতে চাইলেন না জোনাথান ক্যাম্পবেল। টানা তৃতীয় ছক্কার খোঁজে হারালেন নিজের উইকেট। ডিপ মিড উইকেট সীমানায় নিরাপদে ক্যাচ নিলেন লিটন কুমার দাস।
২টি করে চার-ছক্কায় স্রেফ ১০ বলে ২১ রান করে ফিরলেন ক্যাম্পবেল। একশর আগে ৭ উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে।
১৪ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯১ রান। বাকি ৬ ওভারে তাদের প্রয়োজন আরও ৭৫ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান লুক জঙ্গুয়ে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
মাডান্ডেকে ফেরালেন তাসকিন
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম বলেই আঘাত করলেন তাসকিন আহমেদ। লেগ স্টাম্পের ওপরের ডেলিভারি ফ্লিক করে সোজা ডিপ স্কয়ার লেগ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিলেন ১৬ বলে ১১ রান করা ক্লাইভ মাডান্ডে।
৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কা সফরকারীরা। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান জোনাথান ক্যাম্পবেল ও লুক জঙ্গুয়ে।
বোলিংয়ে এসেই মাহমুদউল্লাহর আঘাত
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রায় দুই বছর পর বোলিং করতে এসে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম বলে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিলেন ২৬ বলে ৩১ রান করা টাডিওয়ানাশে মারুমানি। অনেকটা দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে সেটা মুঠোয় নিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
এর আগে ২০২২ সালে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বোলিং করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
১১ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৬৬ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডে ও জোনাথান ক্যাম্পবেল।
রাজাকে ফেরালেন রিশাদ
খরুচে ওভারের শেষটা দারুণ করলেন রিশাদ হোসেন। কট বিহাইন্ড করে তিনি ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে।
আগের পাঁচ বলে একটি ছক্কাসহ ১২ রান দিয়েছিলেন রিশাদ।
৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৯ রান। ২০ বলে ২৪ রানে খেলছেন টাডিওয়ানাশে মারুমানি। নতুন ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডে।
সাইফের দ্বিতীয় শিকার আরভিন
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। এবার তিনি বোল্ড করলেন ক্রেইগ আরভিনকে। ৭ বলে ৭ রান করে ফিরলেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে জিম্বাবুয়ে। বিপরীতে তারা করেছে ৩৩ রান।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। ১৩ বলে ১২ রানে অপরাজিত ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি।
বোলিংয়ে এসেই তানজিমের আঘাত
বেঁচে গিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না ব্রায়ান বেনেট। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসেই তাকে ফেরালেন তানজিম হাসান। বড় শটের খোঁজে টাইমিংয়ের গড়বড়ে ফিরতি ক্যাচ দিলেন বেনেট।
৮ বলে ৫ রান করে আউট হলেন তিনি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন। ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত টাডিওয়ানাশে মারুমানি।
৪.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৪ রান।
উইকেটের সুযোগ হারাল বাংলাদেশ
তানভির ইসলামের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারলেন না ব্রায়ান বেনেট। বল প্যাডে লাগতেই আবেদন করলেন তানভির। কিন্তু অন্যরা তেমন সমর্থন দিলেন না। আম্পায়ারও সাড়া দিলেন না তাতে।
তেমন আত্মবিশ্বাসী না হওয়ায় রিভিউ নেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত লেগ স্টাম্পে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে বিদায়ঘণ্টা বাজত বেনেটের। উল্টো ৪ রানে বেঁচে যান তিনি।
৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান।
প্রথম ওভারেই সাইফের আঘাত
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই ব্রেক থ্রু দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় জয়লর্ড গাম্বির ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় ডিপ থার্ড ম্যানে। নিরাপদে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।
৮ বলে ৯ রান করে ফিরলেন গাম্বি। তিন নম্বরে নামলেন ব্রায়ান বেনেট। টাডিওয়ানাশে মারুমানি ৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত।
২.২ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬ রান।
১৬৫ রানের পুঁজি পেল বাংলাদেশ
টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আরেকটি হতাশার দিন হাল ধরলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করলেন হৃদয়। জাকের খেললেন চল্লিশ ছোঁয়া ইনিংস। দুজনের বড় জুটিতে বাংলাদেশ পেল ১৬৫ রানের পুঁজি।
সিরিজে ব্যর্থতার ধারা আরেকটু লম্বা করে এদিন ১৫ বলে ১২ রানে আউট হন লিটন কুমার দাস। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ বলে করেন ৬ রান। বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান ২১ রান করতে খেলেন ২২ বল।
চতুর্থ উইকেটে জুটি বাধেন হৃদয় ও জাকের। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৮ বলে ৮৭ রান। একই ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তারা। দুজনই মারেন সমান ৩টি চার ও ২টি করে ছক্কা। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জাকের খেলেন ৩৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
এক পর্যায়ে ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৫ রান ছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে পরের ৮ ওভারে তারা করেন ৯০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (লিটন ১২, তানজিদ ২১, শান্ত ৬, হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬*; ফারাজ ৪-০-৪৪-১, মুজারাবানি ৪-০-১৪-৩, রাজা ৪-০-৩৮-১, মাসাকাদজা ৪-০-৩৪-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৩-০)
জাকেরকেও বোল্ড করলেন মুজারাবানি
একই ওভারে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তাওহিদ হৃদয়ের পর আরেকটি চমৎকার ইয়র্কারে তিনি বোল্ড করলেন জাকের আলিকে।
হৃদয় ফেরার পর মুজারাবানির প্রথম বলেই স্লগ করার চেষ্টা করলেন মাহমুদউল্লাহ। বল লাগল তার প্যাডে। জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত বল। তাই বৃথা যায় রিভিউ।
তবে পরের বলেই দারুণ ইয়র্কারে তিনি এলোমেলো করেন জাকেরের স্টাম্প। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন মুজারাবানি।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৯ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন।
হৃদয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মুজারাবানি
আগের বলে স্কুপ করে বাউন্ডারি মেরেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। শোধ নিতে সময় নিলেন না ব্লেসিং মুজারাবানি। দারুণ ইয়র্কারে তিনি বোল্ড করলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা হৃদয়কে।
চলতি সিরিজে প্রথমবার আউট হলেন হৃদয়। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তরুণ ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ভাঙে ৮৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৭ রান। ৩৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত জাকের আলি।
হৃদয়ের প্রথম ফিফটি
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যে চলতি সিরিজে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম তাওহিদ হৃদয়। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংসের পর এবার ১৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি করলেন তরুণ ব্যাটসম্যান।
২টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ বলে মাইলফলক স্পর্শ করলেন হৃদয়। তার ফিফটি হওয়ার এক বল পর ছক্কা মেরে চল্লিশে পৌঁছালেন জাকের আলিও।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪২ রান। জাকের ৩২ বলে ৪৩ ও হৃদয় ৩৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত।
বেঁচে গেলেন জাকের, জুটির পঞ্চাশ
লুক জঙ্গুয়ের ফুল টস বল মিড উইকেটের দিকে উড়িয়ে মারলেন জাকের আলি। সীমানায় ক্যাচ নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথান ক্যাম্পবেল। কিন্তু দুজনের কেউই চেষ্টা করলেন। তাদের ফাঁক গলে বল চলে গেল সীমানায়।
এই বাউন্ডারির সৌজন্য পূর্ণ হলো জাকের ও তাওহিদ হৃদয়ের জুটির পঞ্চাশ রান, ৩৬ বলে।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১২ রান। এর মধ্যে শেষ ৩ ওভারেই এসেছে ৩৭ রান।
জাকের ২২ বলে ২৯ ও হৃদয় ২৭ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত।
চতুর্দশ ওভারে বাংলাদেশের একশ
চতুর্থ উইকেট জুটিতে রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। এরই মধ্যে ১৪ ওভারে ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।
ত্রয়োদশ ওভারে সিকান্দার রাজার বলে একটি করে ছক্কা মারেন হৃদয় ও জাকের। পরের ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে আসে বাউন্ডারি।
হৃদয়-জাকেরের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৩০ বলে ৪০ রান।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। হৃদয় ২৬ বলে ৩৭ ও জাকের ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত।
ছক্কার খোঁজে অক্কা তানজিদ
ফারাজ আকরামের হালকা টেনে দেওয়া ডেলিভারি মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারলেন তানজিদ হাসান। কিন্তু টাইমিং হলো না ঠিকঠাক। সীমানায় ধরা পড়ে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
১টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ২১ রান করে ফেরেন তানজিদ। তার বিদায়ে আরও বাড়ল বাংলাদেশের বিপদ।
৯ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬০ রান। তাওহিদ হৃদয় ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪২
ব্যাটিংয়ে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে স্রেফ ৪২ রান করল তারা। বিপরীতে এরই মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দলকে এগিয়ে নেওয়ার অভিযানে জুটি বেধেছেন তানজিদ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ ওভারে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মেরেছেন তানজিদ।
হৃদয় ৩ বলে ৪ ও তানজিদ ১৪ বলে ১৫ রানে খেলছেন।
টিকলেন না শান্ত
লিটন কুমার দাসের মতো আরও একবার হতাশ করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রাউন্ড দা উইকেট থেকে সিকান্দার রাজার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
একই ওভারের প্রথম বলে দারুণ রিভার্স সুইপে চার মারেন শান্ত। সব মিলিয়ে ৪ বলে ৬ রান করে আউট হলেন তিনি। সিরিজের তিন ম্যাচে তিনি করেন ৪৩ রান।
৪.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।
স্কুপ করে নিজের স্টাম্প উপড়ালেন লিটন
ব্লেসিং মুজারাবানির পরপর তিন বল স্কুপ করার চেষ্টা করলেন লিটন কুমার দাস। প্রথম দুটি ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না তিনি। ফুল লেংথে করা তৃতীয় বল ব্যাটে লাগল বটে। কিন্তু সেটি উপড়ে দিলো লেগ স্টাম্প। ডিগবাজি খেয়ে দূরে ছিটকে পড়ল স্টাম্প।
আরও একবার হতাশ করে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন স্টাইলিশ ওপেনার। ২ চারে ১২ রান করতে তিনি খেললেন ১৫ বল সিরিজের তিন ম্যাচে লিটনের সংগ্রহ স্রেফ ৩৬ রান।
৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বলে ৫ রানে অপরাজিত তানজিদ হাসান।
জিম্বাবুয়ের ব্যর্থ রিভিউ
ইনিংসের শুরুতে একটি রিভিউ হারাল জিম্বাবুয়ে। ব্লেসিং মুজারাবানি ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি তানজিদ হাসান। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর রিভিউ নেন সিকান্দার রাজা। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাই কোনো বিপদ হয়নি তানজিদের। বৃথা যায় জিম্বাবুয়ের রিভিউ।
এর আগে প্রথম ওভারের শেষ বলে রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যান তানজিদ। ফারাজ আকরামের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মিড অফের দিকে খেলেই দৌড় দেন তিনি। কিন্তু সাড়া দেননি লিটন কুমার দাস।
ক্রিজের মাঝামাঝি এসে ফিরতে হয় তানজিদকে। কিন্তু বল সরাসরি ধরতে পারেননি রাজা। তাই রান আউটের সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা।
২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান। লিটন ৭ বলে ৬ ও তানজিদ ৫ বলে ৪ রানে অপরাজিত।
জিম্বাবুয়ে দলেও দুটি পরিবর্তন
সফরে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা জিম্বাবুয়েও নিজেদের একাদশে করেছে দুটি পরিবর্তন। এই ম্যাচের দলে নেই রিচার্ড এনগারাভা ও আইনস্লি এনডলোভু। তাদের জায়গায় এসেছে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাডান্ডে, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, জোনাথান ক্যাম্পবেল, ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশ একাদশে জোড়া পরিবর্তন
সিরিজ নিশ্চিত করার অভিযানে নিজেদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাইরে রাখা হয়েছে অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে।
তাদের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ও পেসার তানজিম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকের আলি, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শান্ত অবশ্য বলেছেন, টস হেরেও সমস্যা নেই তার। কেননা টস জিতলে এই ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিতেন তিনি।
সিরিজ জয়ের অভিযানে বাংলাদেশ
পরপর দুই ম্যাচে অনায়াস জয়ে সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতলেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করে ফেলবে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচটি শুরু মঙ্গলবার দুপুর ৩টায়।
বোলারদের নৈপুণ্যে দুই ম্যাচে সহজ জয় পেলেও চিন্তার কারণ ছিল লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং। দুই ম্যাচের একটিতেও সাবলীল ছিলেন না টপ-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের আগে তাই নিজেদের ফিরে পাওয়ার অভিযানে চোখ রাখতে হবে তাদের।