চিকিৎসক জানান, ভর্তির পর থেকেই নিশাদের চেতনা ফেরেনি। তার মাথার হাড় ভেঙে গিয়েছিল।
Published : 19 Feb 2024, 11:22 AM
ছিনতাইকারীর হামলায় আহত হওয়ার ১৬ দিন পর রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান।
রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ২৪ বছর বয়সি নিশাদ গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিশাদের চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে সেলিম হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিশাদের বন্ধু খালিদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন নিশাদ তাদের এক অসুস্থ বান্ধবীকে হাসপাতালে রেখে আরেক বান্ধবীর সঙ্গে রিকশায় করে ফিরছিলেন। রাজারহাতা এলাকা পার হওয়ার সময় রাজশাহী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের দিক থেকে আসা কয়েকজন যুবক রিকশার গতিরোধ করার চেষ্টা করেন।
বাধা দিলে ওই যুবকরা নিশাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময় রিকশাচালক দ্রুত সেখান থেকে পলিয়ে যান। দূরে গিয়ে ওই বান্ধবী চিৎকার করলে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন নিশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন থেকে নিশাদ অচেতন ছিলেন।
সঙ্গে থাকা ওই বান্ধবীর বরাতে খালিদ আরও বলেন, “হামলাকারী যুবকরা নিশাদের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তবে হাত ঘড়ি কিছু দূরে পড়ে ছিল। হামলাকারী একজনের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল।”
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, “ভর্তির পর থেকেই নিশাদের চেতনা ফেরেনি। তার মাথার হাড় ভেঙে গিয়েছিল। এ ছাড়া মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সে কারণে তাকে বাঁচানো যায়নি।”
বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মামলার পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে থানায় সাত থেকে আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পেশাদার ছিনতাইকারী। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ০৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]