স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক বলেন, ক্যাপসুল মজুদ আছে; প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে যথাসময়ে ক্যাম্পেইন শেষ করা হবে।
Published : 20 Feb 2023, 05:54 PM
সারা দেশে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হলেও বরিশাল নগরীতে এ কর্মসূচি পালিত হয়নি। তবে জেলার ১০টি উপজেলায় যথারীতি এ ক্যাম্পেইন হয়েছে।
‘সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অবহিত না করায়’ উপজেলাগুলোর সঙ্গে নগরীতে কার্যক্রম করতে পারেননি বলে জানান নগর ভবনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র।
সোমবার দেশজুড়ে চালানো একদিনের ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশের ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
সকালে মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-‘নিপসমে’ এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সকাল থেকে বরিশালের ১০ উপজেলায় এ ক্যাম্পেইন চালানো হয় বলে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান।
খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাতীয় কোনো ক্যাম্পেইন হলে অন্তত দেড় মাস আগে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর পরামর্শক সভা করা হয়; প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সিটি মেয়র উদ্বোধন করেন। কিন্তু রোববার মৌখিভাবে জানানো হয়, সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিশুদের জন্য ৪৪ হাজার ডোজ ভিটামিন এ ক্যাপসুল বরাদ্দ করা হয়েছে।
“স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি কেন জানায়নি বুঝতে পারছি না। বরাদ্দ হওয়া ক্যাপসুল আজ (সোমবার) নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচি তিন, পাঁচ ও সাতদিনব্যাপী হয়।”
বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পেইন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. শুভ্র।
বরিশালে প্রায় ৬২ হাজার শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তানিশা ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পত্রিকা ও ফেইসবুকে দেখে জানতে পেরেছেন সোমবার থেকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তার তিন ও ৯ বছর বয়সী দুই শিশুকে নিয়ে পাশের ইপিআই কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন নগরীতে এ কর্মসূচি শুরু হয়নি। কেন হয়নি তা জানাতে পারেনি কেন্দ্রের কেউ।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল ৯টায় বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই কার্যক্রমের সূচনা করেছেন তিনি।
সিভিল সার্জন বলেন, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৩৩ হাজার ৬০৯ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৩ জন শিশুকে দুই ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
তিনি জানান, জেলার ১০ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নে ২ হাজার ৯৭ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও সেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৪ হাজার ১৯৪ জন কাজ করছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক সঙ্গে অনেকগুলি জাতীয় কর্মসূচি পড়ে গেছে। তাই হয়তো এ ঘটনা ঘটেছে।
“আমাদের কাছে যথেষ্ট ক্যাপসুল মজুদ আছে। আমি কথা বলেছি, প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে যথাসময়ে ক্যাম্পেইন শেষ করা হবে।”