ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুরে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং

চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা, বেদে পল্লী, মাছঘাট, জেলে পল্লী, লঞ্চঘাট ও যাত্রীবাহী লঞ্চে মাইকিং করা হয়েছে।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 08:08 AM
Updated : 12 May 2023, 08:08 AM

ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন সতর্ক অবস্থানে থাকতে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

জেলার তিন নদীর মোহনা, বেদে পল্লী, মাছঘাট, জেলে পল্লী, লঞ্চঘাট ও যাত্রীবাহী লঞ্চে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল সদস্যরা।

এদিন বিকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়ও মাইকিং করা হয়।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে দুর্যোগ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ব-প্রস্তুতি ও পরবর্তী কার্যক্রমের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সভায়।

কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সেবা নম্বরের (০১৭৬৯-৪৪০৩৩৩) মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমদের ইউনিয়ন পদ্মা-মেঘনার পাশে। ইতোমধ্যে আমরা প্রত্যেক এলাকায় মানুষদের সতর্ক থাকতে বলেছি। তবে এখনও মাইকিং করা হয়নি।”

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। সেখানে যুক্ত হয়ে যেসব নির্দেশনা পেয়েছি, সেগুলোর আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

“ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চলে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। ওইসব এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। সতর্কতার জন্য আরও প্রচার করা হবে। আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।”

বাংলাদেশ উপকূল থেকে হাজারখানেক কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা যেমন ধারণা করেছিলেন, মোখার গতিপথ তেমনি আছে। এভাবে চললে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে উপকূলে আঘাত হানার সময় মোখার বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তবে টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বলছে, সে সময় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে মোখার ঘূর্ণিবাতাসের শক্তি।

ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সময় প্রচুর বৃষ্টি ঝরাবে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ২.৭ মিটার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পরে।