পুলিশ জানায়, চিকিৎসক সবুজ কুমার দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
Published : 04 Feb 2024, 05:20 PM
বরগুনার বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় করা জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়েছেন।
রোববার বামনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাসেল মজুমদার ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলম জানান।
এর আগে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলার সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক সবুজ কুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাবের সহযোগিতায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে শনিবার রাতে বরগুনায় আনে।
ভারতে পালানোর সময় ওই সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার।
মামলার নথির বরাতে ওসি বশির আলম জানান, গত ১৫ জানুয়ারি বামনা উপজেলার ডৌয়াতলার সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মোসা. মেঘলা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
এরপর থেকেই ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক সবুজ কুমার দাসসহ অন্যরা আত্মগোপনে চলে যান।
ঘটনার একদিন পর প্রসূতি মেঘলার বাবা ছগির হাওলাদার আটজনের বিরুদ্ধে বামনা থানায় জোড়া খুনের মামলা করেন।
পরে আদালতের মাধ্যমে গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলার তদন্তভার নেয়।