বাকি চারজনের মরদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেলেও তা ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 24 Apr 2023, 10:33 PM
কক্সবাজারের উপকূলে মাছ ধরার ট্রলারে পাওয়া ১০ জনের মরদেহের মধ্যে ছয়টির পরিচয় শনাক্ত করার কথা বলেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
দাফনসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন।
পরিচয় শনাক্তদের মধ্যে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির মরদেহ তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম গ্রহণ করেন। চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়ার মরদেহ দেওয়া হয় তার বাবার কাছে।
একই ইউনিয়নের বটতলী এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম।
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মুসা আলীর ছেলে গণি ওসমানের মরদেহ তার মা জহুরা বেগম ও মোহাম্মদ হোসনের ছেলে নুরুল কবিরের মরদেহ তার বাবা গ্রহণ করেন।
মিঠাছড়ি গ্রামের জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহর মরদেহ তার ভাই আয়াত উল্লাহ গ্রহণ করেছেন।
রোববার দুপুরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে কয়েকজনের পরিচয় স্বজনরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করলেও দুই-তিনটি মরদেহের একাধিক দাবিদার পাওয়া যায়।
তখন পুলিশ বলেছিল, সবগুলো মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংরক্ষণ করার জন্য কাজ করছে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিট।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
"মৃতদেহ হস্তান্তর হওয়া এবং শনাক্ত না হওয়া সবার মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।"
এদিকে যে চারজনের মরদেহ বাকি রয়েছে তাদের পরিচয়ও প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করার কথা বলেছে পুলিশ।
তারা হলেন মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), শাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪)।
তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় মরদেহ পুলিশ হস্তান্তর করেনি।
পুরনো খবর
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ: একাধিক দাবিদার, হবে ডিএনএ পরীক্ষা
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ: যা যা জানা যাচ্ছে
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ মরদেহ উদ্ধার