সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাকি থাকায় তার মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন সময় নিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
Published : 04 Dec 2023, 09:39 AM
গৃহকর বকেয়া থাকায় মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হওয়ার মধ্যেই রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাঈদ এ নোটিস দেন।
গত শনিবার বিকালে ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর পৌরসভার গোকুল ও বুরুজ এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করেন।
এসব সমাবেশ থেকে তিনি আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে নৌকার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের সমাবেশ নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন।
একই কারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় গত ২২ নভেম্বর তাকে সতর্ক করে চিঠি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাকি থাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন সময় নিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গত রোববার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ টাকা গৃহকর বকেয়া থাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্রটির ব্যাপারে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত হবে।
মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের আগেই নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ওমর ফারুক পেলেন কারণ দর্শানোর নোটিস।
নোটিসে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে যে, তিনি (ওমর ফারুক চৌধুরী) প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিধি লঙ্ঘন করে তানোরে দুটি সভা করে নৌকায় ভোট চান। যা নির্বাচনি আচরণ বিধির লঙ্ঘন।
আগামী মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ওমর ফারুককে সশীরের উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নোটিসে বলা হয়েছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।
এবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি ভেঙে তানোর ও গোদাগাড়ীতে উপকারভোগীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করে নৌকায় ভোট চান তিনি।
এসব সমাবেশ দৃষ্টিতে পড়লে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেন।
এর ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেন। কমিশন এই সংসদ সদস্যকে সতর্ক করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা গত ২২ নভেম্বর তাকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহ পর তিনি আবার আচরণবিধি ভেঙে সভা করেন।
এ ব্যাপারে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, “এক শ্রেণির সাংবাদিক আছেন, যারা আমাকে সব সময় আলোচনায় রাখতে পছন্দ করেন।”
তিনি আরও বলেন, “এখন ভোটের সময়। আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমাকে তো পাস করতে হবে। এখন ঘরে বসে থাকার সময় নয়। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে হচ্ছে। জনসভা তো কোথাও করিনি। আচরণবিধিও ভঙ্গ করিনি। কারণ দর্শানোর চিঠির উপযুক্ত জাবাব দেব।”
আরও পড়ুন: