আসনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চার আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
Published : 03 Dec 2023, 05:46 PM
সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাকি থাকায় রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে সোমবার।
রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।
তিনি জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ টাকা গৃহকর বকেয়া থাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়নপত্রটির ব্যাপারে সোমবার সিদ্ধান্ত হবে।
যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, রাজশাহীর ছয়টি আসনে ৬০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩৬টি মনোনয়নপত্র সঠিক, ১৭টি বাতিল এবং সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় আছে সাতটি।
ছয়টি আসনে সিদ্ধান্তহীন সাতটি মনোনয়নপত্রের মধ্যে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আছে একটিই। সেটি তিনবারের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বলেন, “যাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে তারা আপিল করতে পারবেন। আর যাদের পেন্ডিং রাখা হয়েছে তারা আগামী সোমবারের মধ্যে সঠিক কাগজপত্র দেখালে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, যাচাইয়ের প্রথম দিনে রাজশাহী-১ আসনে যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনএফ’র প্রার্থী আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতি মুক্তিজোট প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টি থেকে শামসুদ্দীন মণ্ডল ও বিএনএম’র প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু।
এছাড়া আসনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চার আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া এবং চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ তালিকা জমা দিতে হয়। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়ার তিনজন ভোটারের নমুনা পাওয়া যায়নি। আর একজন ভোটার নন। ললিতা মান্ডি নামে একজন এই নির্বাচনি এলাকার ভোটার নন।
অপরদিকে, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ার পক্ষে জমা দেওয়া স্বাক্ষরের সাতজন ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়নি।
গোলাম রাব্বানীর দেওয়া তিনজন ভোটারের ঠিকানা এবং আখতারুজ্জামান আখতারের নয়জন ভোটারের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।