মোখলেছকে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ পুলিশ।
Published : 24 Apr 2024, 12:27 AM
নিখোঁজের ২৫ দিন পর নরসুন্দা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে গলাকেটে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল থেকে নদীতে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের মুক্তমঞ্চ এলাকায় ওয়াচ টাওয়ারের পূর্ব পাশে সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
নিহত মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়া (২৫) মিঠামইনের কেওয়ারজুর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সহসভাপতি ছিলেন।
মোখলেছ সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি জেলা জজ আদালতের পেশকারের সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, “মোখলেছকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ যাতে ভেসে না উঠে সেজন্য কংক্রিটের ব্লক শরীরে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।”
মোখলেছের বড় ভাই আশরাফ আলী বলেন, “তিন মাস ধরে মোখলেছ কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউ বাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় থাকত। ২৯ মার্চ ভাড়া বাসা থেকে রাত ৯টার দিকে নিখোঁজ হয় সে।
“তার সবশেষ অবস্থান জানতে রাস্তায় লাগানো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। এর মধ্যে একটি ফুটেজে ঘটনার দিন তার সঙ্গে কয়েকজনকে দেখা যায়।”
পুলিশ জানায়, ১৬ এপ্রিল আশরাফ আলী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। এতে মিজানসহ অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শনিবার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা থেকে মিঠামইনের কেওয়ারজুর ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের শেফুল শেখ ও তার তিন ছেলে মিজান শেখ, মারজান শেখ ও রায়হান শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান শেখ পুলিশকে জানান, মোখলেছকে হত্যা করে নরসুন্দা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছেলে নিখোঁজের খবর শুনে ১৩ এপ্রিল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মোখলেছের বাবা মকবুল হোসেন মারা যান।