সংকট কাটিয়ে চামড়া শিল্প নগরীর উন্নয়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
শনিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরী ও সিইটিপি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ট্যানারি শিল্পের কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশের যে দূষণ হচ্ছে তা রোধে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, “চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা অনেক বেশি উৎসাহ দেব। সবাই মিলে শিল্পটাকে আরও বেশি এগিয়ে নিতে কাজ করবো। যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা খুব ভালোভাবে কমপ্ল্যায়েন্ট হয়ে যাই।“
আন্তর্জাতিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পেতে চামড়া শিল্প নগরীর জন্য আরও ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন বলে জানান তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, “এলডব্লিউজি সনদ না হলে আমরা ইউরোপের বাজারে রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়বো। সেজন্য এখানের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।“
বিষয়গুলো নিয়ে ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন, লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশন, শিল্প সচিব, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সবাই খোলামেলা আলোচনা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
তিনি আরও বলেন, “কোভিড মহামারীর মধ্যে চামড়া শিল্পের রপ্তানি অনেক কমে গিয়েছিল। এখন আমরা ইতিবাচক জায়গায় এসেছি। এখন প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি হচ্ছে এই খাতে। তবে কাজটি করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের ভূমি, পানির মাধ্যমে আমাদের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই দূষণগুলো কিভাবে বন্ধ করতে পারি সেজন্য আমরা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েছি।
সিইটিপির বিষয়ে মুখ্য সচিব বলেন, “এত বিরাট সিইটিপি করার অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে এর আগে ছিলো না। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের যেসব মালামাল এসেছে সেসব জায়গায় বিভিন্ন সময় কিছু সমস্যাও তৈরি হয়েছে। এখন পৃথিবীতে অ্যাডভান্স টেকনোলজিও চলে এসেছে। বায়াররা এখন আরও বড় অ্যাডভান্স টেকনোলজির সিইটিপি দেখতে চায়। কাজেই আমাদের এই সিইটিপিকে আরও বেশি আধুনিকায়ন করা দরকার।”
ট্যানারি পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, বিসিকের পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।