ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক জানান, সরকার থেকে পাওয়া ৩৬ হাজার কম্বল অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
Published : 19 Jan 2024, 12:23 PM
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। সেইসঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া।
ঠাকুরগাঁও জেলায় আবহাওয়া অফিস নেই। তবে প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে এ জেলায় তাপনিয়ন্ত্রক যন্ত্রের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের জেলার উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অব্যাহত শীতে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রা প্রায় থমকে গেছে। কাজ-কর্মে গতি কমে যাওয়ায় অনেকের রোজগারও কমেছে।
শহরের গোবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে প্রচণ্ড ঠান্ডা বেড়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে পুরো শহর ঢেকে থাকছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমজীবীদের কাজে স্থবিরতা চলে আসছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় ৬ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে পুরো জনপদ।
কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
দিনের বেলায়েও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন মানুষ।
এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রকিবুল আলম বলেন, “হাসপাতালে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে সর্দি-কাঁশি-জ্বর-শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়ার রোগীর সংখ্যাই বেশি।”
শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “সরকার থেকে পাওয়া ৩৬ হাজার কম্বল অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার কম্বলের জন্য চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে।”