ময়মনসিংহে কাউন্সিলর পদেও মেয়র টিটু অনুসারীদের ‘প্রাধান্য’

তিন মেয়র পদপ্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

ইলিয়াস আহমেদময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2024, 03:00 PM
Updated : 10 March 2024, 03:00 PM

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। 

টজু ও আলম- দুজনই ভোটের লড়াইয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সমর্থন প্রত্যাশা করেছিলেন।

সংসদ সদস্য সরাসরি এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি তার সমর্থকদের বিগত সংসদ নির্বাচনে যারা নৌকার পক্ষে প্রচার করেছেন, নির্বাচন পরিচালনা করেছেন- তাদেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্যের বিরোধী হিসেবে পরিচিত, তারা প্রায় সবাই টিটুর সঙ্গে একপক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। আর সংসদ সদস্যের অনুসারীরা টজু ও আলমের পক্ষে কাজ করেছেন। তবে ভোটের মাঠে টজুর পক্ষে তাদের বেশি দেখা গেছে।  

৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন মোহিত উর রহমান শান্ত। তার বিরুদ্ধে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মেয়র টিটুর আপন বড়ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম। তখন দুইপক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে; সেই বিরোধের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্পষ্টতই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন। মেয়র ভোটের পাশাপাশি বিবাদমান দুই পক্ষ নিজেদের অনুসারী সাধারণ কাউন্সিল প্রার্থীদের নিয়েও ৩৩ ওয়ার্ডে প্রচার চালান।

যদিও সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে নিজের পেইজে এক পোস্টে ‘একটি সুন্দর ময়মনসিংহের প্রত্যাশায়…’ নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান সংসদ সদস্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং তিনি ‘ব্যক্তিগতভাবে’ সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর হাতি প্রতীকে প্রচার চালিয়েছেন ও ভোট করেছেন।

ভোটের আগে তিনি কাউন্সিলরদের সমর্থনের ব্যাপারে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমরা ২০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সাপোর্ট দেব। তারা ইনশাল্লাহ বেরিয়ে আসবে। এটা আমাদের লাগবে।”

ভোটের পরদিন রোববার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সাইডে ১৬টা, আমাদের অংশে ১৬টার মতো পাশ করছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরা সবাই সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নেই। 

এ সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

তবে টিটুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত একজন নেতা বলেন, “কাউন্সিলর হিসেবে শান্তর অনুসারী হিসেবে পরিচিতদের মধ্যে ১১-১২ জন পাশ করেছেন। দু-তিনজন বিএনপি সমর্থক, জাসদ নেতা একজন জয়ী হয়েছেন।”  

শনিবার দিনভর ১২৮ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলর পদে পুরনোদের জয়জয়কার। ভোটাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরনো কাউন্সিলরের প্রতিই আস্থা রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের বাইরে অন্তত চারজন বিএনপিপন্থি প্রার্থী এই নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। দুজন সাধারণ কাউন্সিলর পদে এবং দুজন সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন। এদের তিনজনই আগেই কাউন্সিলর ছিলেন।

একজন বিএনপি সমর্থক ব্নিাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। আর একজন সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রথমবার জয় পেয়েছেন।    

সাধারণ ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হলেন-

১ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান বাবু, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি লাউ প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম রফিক দুদু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. শরীফুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. মাহবুবুর রহমান দুলাল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. নিয়াজ মোর্শেদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডন বিজয়ী হয়েছেন।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. ফারুক হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো মো. আল মাসুদ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. তাজুল আলম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরহাদ আলম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে হানিফ সরকার স্বপন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. ফজলুল হক জনগণের রায় পেয়েছেন।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. মাহবুব আলম হেলাল, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুল মান্নান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. কামাল খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর আব্বাস আলী মণ্ডল, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে লাঠিম প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে মো. ইশতিয়াক হোসেন জয়লাভ করেছেন।

২২ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. মোস্তফা কামাল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে করাত প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর সাব্বির ইউনুস বাবু, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মো. আসলাম হোসেন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিষ্টি লাউ প্রতীক নিয়ে মো. উমর ফারুক সাবাস, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. শামছুল হক লিটন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ বিজয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো মো. রাশেদুজ্জামান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর আবুল বাশার, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো মো. সেলিম উদ্দিন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমবার ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহজাহান জয় পেয়েছেন।

সংরক্ষিত আসনে জয়ী হলেন যারা

১ নম্বর ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে আকিকুন নাহার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে খোদেজা আক্তার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বই প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর হামিদা পারভীন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জিপগাড়ি প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর রোকশানা শিরীন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর রোকেয়া হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো খালেদা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।

৭ নম্বর ওয়ার্ডে আনারস প্রতীক নিয়ে হালিমা খাতুন হেপী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে হাজেরা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে রিনা আক্তার, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বেহালা প্রতীক নিয়ে মোছা. হামিদা, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ফারজানা ববি কাকলী জয় পেয়েছেন।

জামানত হারিয়েছেন তিন মেয়র প্রার্থী

নির্বাচনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন তিন মেয়র প্রার্থী। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯ জন।

এর মধ্যে ৪৯১ ভোট বাতিল হয়েছে। এতে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮হাজার ৯৪৮। ওই হিসাব অনুযায়ী, ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।

এর মধ্যে ইকরামুল হক টিটু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।

এ ছাড়া এহতেশামুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট, হরিণ প্রতীকের রেজাউল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির শহীদুল ইসলাম লাঙল প্রতীকের পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র পদের কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। ময়মনসিংহে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অনুযায়ী সেটি ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।

সেই অনুযায়ী, নির্বাচনে জামানত রক্ষা করতে হলে মেয়র প্রার্থীকে অন্তত ২৩ হাজার ৬১৮ ভোট পেতে হবে। টিটু ও টজু ছাড়া বাকি তিনজন সেই ভোট পাননি।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হন ইকরামুল হক টিটু। ওই ভোটে কেবল কাউন্সিলর পদগুলোতে ভোট হয়েছিল।

কেন এত বড় ব্যবধান

আড়াই দশক ধরে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করা ইকরামুল হক টিটু ভোটে জয় পাবেন- এমনটা প্রচার দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন।

তারা এটাও বলেছিলেন, যদি টিটু-বিরোধী পক্ষ এক হয়ে একজন প্রার্থী দিতে পারতেন তাহলে হয়ত এখানে নির্বাচন আরও জমে উঠতে পারত। প্রতিপক্ষের বিভেদ টিটুকে ভোটের মাঠে সুবিধা দেবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক, কবি ও অ্যাক্টিভিস্ট আলী ইউসুফ বলেন, “দলীয় কোন্দল ও টিটুর জনপ্রিয়তা এই নির্বাচনে প্রভাব রেখেছে। মানুষের সঙ্গে টিটুর একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যা অন্য প্রার্থীদের মধ্যে নেই। যারা হেরেছেন, তারা বিগত সময়ে মানুষের প্রয়োজনে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পাশে ছিলেন না। তাই তাদের এত ভরাডুবি হয়েছে, জয়-পরাজয়ের ব্যবধান বিশাল হয়েছে।

এদিকে ভোটে পরাজয় নিয়ে কথা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। তিনি নিজের মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭১ ভোট পেয়েছেন। সেখানে ইকরামুল হক টিটু পেয়েছেন এক হাজার ১৭৬ ভোট।

এহতেশামুল আলম বলেন, “আমি ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ১৬ ভোট পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৯০০ নেতাকর্মী আমার হয়ে কাজ করেছেন। সেখানে এত কম ভোট পাওয়া মানে কোনো একটা ইঞ্জিনিয়ারিং তারা করেছে।”

তবে হাতি প্রতীকের সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব নিয়েও তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন।

বিজয়ী মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, “নির্বাচনে যার যার অবস্থান থেকে সবাই প্রার্থী হয়েছেন। কে বিজয়ী হবে এটা জানা ছিল না। বিগত দিনে যেভাবে কাজ করেছি সেভাবেই আবার পাশে থেকে কাজ করতে চাই। সাংগঠনিক অবস্থাকে সুসংগঠিত করতেও কাজ করতে হবে।”