ভারতে পিটিয়ে হত্যার ৯ মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত

গত বছরের ২৪ অগাস্ট ভোরে পঞ্চগড় সদরের অমরখানা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের বড়ুয়াপাড়ায় স্থানীয়দের পিটুনিতে মারা যান সালাম।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2023, 06:30 AM
Updated : 21 May 2023, 06:30 AM

ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ‘গরু চোর’ সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার প্রায় ৯ মাস পর বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের এক যুবকের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। 

শনিবার সন্ধ্যায়  তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা। 

এসময় বিজিবি, বিএসএফ সদস্য ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ নিয়ে বিজিবি বা বিএসফের সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো কথা বলেননি।    

নিহত আব্দুস সালামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের কাহার পাড়া গ্রামে। গত বছরের ২৪ অগাস্ট ভোরে ভারতের বড়ুয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের পিটুনিতে মারা যান সালাম। 

সাতমেড়ার ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, ভারতের বড়ুয়াপাড়া এলাকাটি নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের বিপরীতে অবস্থিত। ঘটনার দিন ভোরে গরু চোর সন্দেহে আব্দুস সালামসহ তিন যুবককে ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। এ সময় অন্য দুই জন পালাতে পারলেও সালামকে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতের নাগরিকরা। 

পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় পুলিশ সালামের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এর মধ্যে ঘটনাটি ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে নিহতের পরিবার বিষয়টি জানতে পারেন এবং তার ভিসা নিয়ে এক ভাই ভারতে গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করেন। 

পরে মরদেহ ফেরতের জন্য বিজিবির মাধ্যমে ভারতের কাছে আবেদন করে পরিবার। 

ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল বলেন, মরদেহটি ভারতের একটি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা ছিল। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৯ মাস পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। 

“নিহতের এক ভাই ভারতে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ নিয়ে আসেন। তবে মরদেহ আনার খরচ সালামের পরিবারের পক্ষ থেকেই বহন করা হয়।” 

নিহত সালামের বড়ভাই আলিম হোসেন বলেন, “আমার ভাইয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে জানতে পারি তাকে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নানাভাবে চেষ্টা করে দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর আমার ভাইয়ের লাশ ফেরত পাই।” 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, মরদেহ নিয়ে আসার সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশও ছিল। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।