ঝিনাইদহ-১ আসনে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই।
Published : 16 Mar 2024, 10:34 AM
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিউমোনিয়া, লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার ভোরে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আব্দুল হাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ-১ আসনে (শৈলকূপা) আব্দুল হাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকূপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। পিতা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মাতার ছকিরন নেছা দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে থেকে বিএ পাশ করেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।
ঝিনাইদহে তিনিই প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালে ভারত থেকে মুজিব বাহিনীর ট্রেনিং নিয়ে দেশে কমান্ডার হিসাবে বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
স্বাধীনতার পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল হাই।
পরে ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া এই সংসদ সদস্য আমৃত্যু সেই দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যাওয়া এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুর খবরে ঝিনাইদহের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।