সংসদ সদস্য বলেছেন, তাকে ‘সাইজ করতে কৌশলে’ সরানো হয়েছে।
Published : 13 Sep 2022, 10:02 PM
বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে আওয়ামী লীগ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে।
শনিবার পঙ্কজকে অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস করার পর তার নির্বাচনী এলাকায় দলের একটি অংশের নেতারা রাস্তায় আনন্দ মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তাদের ভাষ্য, এই সংসদ সদস্য দলে ‘বিভক্তি’ তৈরি করেছিলেন; প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীদের হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে ‘হয়রানি’ করছিলেন।
অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের দাবি, তিনি এলাকায় ‘ব্যাপক উন্নয়ন’ করেছেন। এখন তিনি ‘ষড়যন্ত্র’ এবং ‘খারাপ মানুষের শিকারে’ পরিণত হয়েছেন।
এসব ব্যাপারে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, তাকে ‘সাইজ করতে কৌশলে’ সরানো হয়েছে।
পঙ্কজ নাথকে পাঠানো অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়, "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ দলীয় অন্যান্য সকল পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করেছে।
এ ব্যাপারে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্যকে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া পঙ্কজ দেবনাথের বর্তমান পৈত্রিক বাড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনামুখী গ্রামের উত্তর বাজারে। এখানেই তার বেড়ে উঠা। ছাত্রজীবনেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। পরে তিনি সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি টানা ১৭ বছর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি পরিবহন ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত।
পঙ্কজের অব্যাহতির খবর পৌঁছানোর পর দলের নেতাকর্মীদের একটি অংশ সোমবার সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত হোসেন হাওলাদার। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।
একইদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মাহমুদের নেতৃত্বে কাউরিয়া বাজার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ খানের নেতৃত্বে হরিনাথপুর বাজারে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।
হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপি পঙ্কজ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভক্ত করেছেন। নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে অনুসারীদের দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়েছেন। এ কারণে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি পাঁচ থেকে সাতটি মামলা করেছেন।”
টিপু অভিযোগ করেন, “সংসদ সদস্য হিজলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের অনুসারীদের জিতিয়ে নিয়েছেন। এসব জায়গায় দলীয় প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।”
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দীন খান। তার দাবি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বিগত নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের হারানো হয়েছে এবং এই নয়টি স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে জিতেছেন ‘বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সংসদ সদস্যের ‘ইন্ধনে’ এটা হয়েছে।
পৌর মেয়র কামাল বলেন, “আমাকে কোপানোর জন্য পঙ্কজের নির্দেশ দেওয়ার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এমপির কারণে দলে বিভেদ সৃষ্টি হওয়ায় এখন পর্যন্ত ১০ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে হাট-বাজার, ঘাট চর দখল করিয়েছেন। শতাধিক নেতা-কর্মী পঙ্গু হয়েছেন। কতটি যে মামলা রয়েছে, তার হিসেব মনে নেই।”
তবে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিগত নির্বাচনে জয়ী হওয়া হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন।
পঙ্কজের ‘অনুসারী’ হিসেবে পরিচিত এই জনপ্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হিজলা উপজেলায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়, এমন কোনো কাজ এমপি পঙ্কজ নাথ করেননি।”
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে সংসদ সদস্য বলেননি দাবি করে নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন। সেখান থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
“নির্বাচনের আগে মেমানিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কমিটি আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চেয়েছে। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চাপে প্রার্থী হয়েছিলাম। তারাই আমাকে নির্বাচিত করেছে।”
তৃণমূলে পঙ্কজের ‘জনপ্রিয়তায়’ প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “পঙ্কজ নাথ উপজেলার হিজলা-গৌরনদী, মেমানিয়া, ধুলখোলা ও হরিনাথপুর ইউপিতে নদীর তল থেকে সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। মেমানিয়া ইউপিতে বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন করেছেন। মেমানিয়া ইউনিয়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করেছেন। মেমানিয়ার পূর্ব পাড়ে একটি মাধ্যমিক স্কুল করেছেন। সেখানে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করেছেন। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসে।”
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলামও পঙ্কজ নাথের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনিও বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পঙ্কজ দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। তার নিজের মধ্যে অনেক ভুল-ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পঙ্কজ অনেক ভালো মানুষ। এ সমাজে ভালো মানুষের ভাত নেই। তাই পঙ্কজ এমপিও খারাপ মানুষের শিকারে পরিণত হয়েছেন।”
তবে ‘খারাপ মানুষ’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন- জানতে চাইলে উত্তর এড়িয়ে গিয়ে শেখ শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, “এই দুই উপজেলা একসময় বিএনপির ভোট ব্যাংক ছিল। এই আসন বিএনপির ছিল। এখন আর সেটি নেই।”
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকলেও দলের বরিশাল জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। অব্যাহতির চিঠি অনুযায়ী, তিনি সেই পদ হারিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত নির্দেশনা আমরা পেয়েছি।
তিনি অভিযোগ করেন, গত চার বছরে মেহেন্দিগঞ্জে দলকে বিভক্ত করে নিজের বলয় সৃষ্টি করেছেন পঙ্কজ নাথ। তিনি নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, পঙ্গু করে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছেন। বিভিন্ন নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীদের বিপক্ষে কাজ করেছেন।
“সর্বশেষ গত ২৮ অগাস্ট তার অনুসারীরা মেহেন্দিগঞ্জে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে ছাত্র ও যুবলীগের ছয় কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে। আর এসব কারণেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে বলেছেন, “পঙ্কজ অনেক আগেই আওয়ামী লীগে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।”
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অব্যাহতির চিঠি পাওয়ার খবরের পর পঙ্কজের অনেক অনুসারী ‘নীরব’ আছেন। তারা সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না। পঙ্কজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত অনেক নেতাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
সংসদ সদস্য পঙ্কজের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পঙ্কজ নাথ দলীয় এমপি। তাই তার সঙ্গে থেকে এলাকার উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেউ তো আমাকে বলেননি যে পঙ্কজের সঙ্গে থাকা যাবে না।”
এই জনপ্রতিনিধি বলেন, “একটি বড় দলে গ্রুপিং থাকবে। এখানেও গ্রুপিং রয়েছে। কেউ তো বলতে পারবে না এমপি বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন।”
প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা-নির্যাতন-মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদ আলম ভুলু বলেন, “সংসদ সদস্য ষড়যন্ত্রের শিকার। দুই দল মারামারি করেছে। সেখানে যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তার দায় তো এমপি পঙ্কজ নেবেন না।”
আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মারামারির ঘটনায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “মামলা আছে। কতটি রয়েছে, সেই হিসাব এখন দেওয়া যাবে না।”
সংসদ সদস্যের বক্তব্য
দুই উপজেলায় নিজের বলয় তৈরির অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে পঙ্কজ নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যে ব্যক্তি উল্লাস করেছিল, তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর জাতীয় পার্টিতে থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে আসা ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়েছে।
“সেই রাজ্যে আমি কেমনে থাকতে পারি? সেখানে কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা আমার নাই। এমপি হওয়ার আগে আমি উপজেলা কমিটির সদস্য ছিলাম। এমপি হওয়ার পরে আমাকে উপদেষ্টা করে এক রকম কমিটি থেকে বাদই দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে উপদেষ্টা কমিটির কোনো মিটিং হয়নি।”
প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের মারধর ও নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই সংসদ সদস্য বলেন, "এখানে মেহেদী নামের একজনকে মারধর করেছে মাদক ব্যবসায়ী মাদকাসক্ত রাতুল। পরে এলাকার লোকজন রাতুলকে মারধর করেছে। সেখানে আমার কী দোষ? কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আমার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা, মিথ্যা কথা আপাকে (শেখ হাসিনা) বলেছে।”
“আর আমার নামে যখন মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছিল তখন একজনকে ফোন করে বলেছি, বাড়াবাড়ি না করতে। সেটা সত্য, রাগের মাথায় বলেছি। এখানে সাংগঠনিক ক্ষমতা তো আমার হাতে নেই, গ্রুপিং করার সুযোগ কোথায়।”
পঙ্কজ বলেন, “১৭-১৮ তারিখ উপজেলা সম্মেলন। সেখানে ভোট হলে নির্বাচনে তারা হারবেন। কারণ, ইউনিয়নের ভোটাররা বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসাদের ভোট দেবে না। তাই আমাকে সাইজ করতে কৌশলে সরিয়েছে।”
বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের’ বিজয়ী করানোর বিষয়ে পঙ্কজ নাথ বলেন, "উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক একত্রিত হয়ে কট্টর বিএনপি করা লোকদের মনোনয়ন দিয়েছে। তাছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী তো তারাই দাঁড় করিয়েছেন।”
এ সময় তিনি আন্দারমানিক ইউনিয়নের উদাহরণ টেনে বলেন, “বিএনপির আলাউদ্দিনকে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী করেছে। লতা ইউনিয়নে ৪০ লাখ টাকা খেয়ে পাশ করিয়ে দিবে বলে বিদ্রোহী প্রার্থী করেছে। বিদ্রোহী, বিএনপি থেকে আসা তালুকদার ইউনুস, মাইদুল কামালরা এখন আওয়ামী লীগে। তারা মেহেন্দীগঞ্জে বিএনপির দালালি করে।”
সংসদ সদস্য আরও বলেন, “এখন আমার বিরুদ্ধে সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে যা ইচ্ছা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলে যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: