ছেলে সাদীর জবানবন্দির বিষয়ে মেয়ে আদুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Published : 17 Oct 2022, 11:53 PM
খুলনার সেই রহিমা বেগমের ‘নিখোঁজে’র বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী।
সোমবার বিকালে মহানগর হাকিম মো. সরোয়ার আহম্মেদের আদালতে সাদী জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান।
সৈয়দ মুশফিকুর আরও জানান, মিরাজ আল সাদী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার মা স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেন। এ মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কেউ অপহরণ করেননি। গত ২৭ অগাস্ট তার মা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার খবর শুনে তিনি গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকদের এলাকাতেই দেখতে পান।
পরে এ ব্যাপারে সাদী সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কাছে ঘটনাটি অপহরণ মনে হয়নি। সেটিই আমি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছি।”
তবে সন্ধ্যায় মামলার বাদী রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে গত ২৭ অগাস্ট নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি বাড়ির লোকজন। রাতে রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রহিমার মেয়ে আদুরি আক্তার অপহরণের মামলা করেন। আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পুলিশের ওই ইউনিট।
৫৫ বছর বয়সী এ নারীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে তার সন্তানরা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ফুলপুরে মায়ের লাশ পাওয়া গেছে বলে মেয়ে মরিয়ম মান্নান ফেইসবুক পোস্ট দেন। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তা আলোচনায় আসে।
নিখোঁজের ২৯ দিন পর রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরের দিন আদালতে হাজির করা হলে অপহরণের দাবি করে জবানবন্দি দেন রহিমা বেগম। সেসময় তাকে মেয়ে আদুরি আক্তারের জিম্মায় দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:
মা আত্মগোপনই করেছিলেন, এখন বলছেন মরিয়ম
‘নিখোঁজ’ খুলনার রহিমা ফরিদপুর থেকে উদ্ধার, ছিলেন ‘আত্মগোপনে’
বস্তাবন্দি লাশটি রহিমার? নিশ্চিত হতে খুলনা থেকে ফুলপুরে মেয়েরা