Published : 24 Dec 2022, 12:21 PM
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের গির্জাগুলোয় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে; সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ট্রি, বড়দিনের তারা দিয়ে সেজেছে এই সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িগুলোও।
গোপালগঞ্জে খ্রিস্টান ফেলোশিপের সভাপতি স্যামুয়েল এস বালা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা গোপালগঞ্জে বরাবরই উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছরও উৎসব পালনে এর মধ্যেই গির্জাগুলো ধুয়ে-মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রংয়ের ছটায়, বর্ণিল পতাকা ও ফুলেল সাজে সেজেছে প্রতিটি গির্জা।
“এখন আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে ভজনালয়গুলো। বেশ কয়েকটি গির্জায় বড়দিনের আগে প্রাক্ বড়দিন উৎসব হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে চলছে প্রভাতী কীর্তণ।
“এছাড়া খ্রিস্টান বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। টানানো হয়েছে বড়দিনের তারা। সব মিলেয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ও গির্জায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ”
এদিকে বড়দিন সাড়ম্বরে উদযাপনে সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জের ১৬৩টি গির্জায় ৮১ দশমিক ৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বড়দিনের প্রার্থনায় অংশগ্রহণকারীদের প্রীতিভোজের জন্য গির্জা প্রতি ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গোপালগঞ্জের এনডিসি এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়ে বলেন, সদর উপজেলার ২৪টি গির্জা, কাশিয়ানীর সাতটি, কোটালীপাড়ার ৯৪টি, মুকসুদপুরের ৩৩টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচটি গির্জায় এই চাল বিতরণ করা হয়েছে।
স্যামুয়েল এস বালা বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের এই সহায়তার কারণে আমাদের উৎসব আরো বর্ণিল হয়ে উঠছে।”
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জার ফাদার ডেভিড ঘরামী বলেন, “যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর আমাদের কাছে একটি আনন্দঘন শুভদিন। ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে আমাদের গির্জায় বড় দিনের প্রার্থনা শুরু হবে। চলবে রাত ১টা পর্যন্ত।
“২৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় আমাদের গির্জায় প্রার্থনা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রার্থনা শেষে এদিন দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে এক হাজার ২০০ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করছি।
“বিকেলে সুধীজনের সাথে বড় দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
তিনি বলেন, “বড়দিনের অনুষ্ঠানমালা সফল করতে গির্জায় মহড়া চলছে। এতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক ভক্তরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া বড়দিনকে সমানে রেখে প্রভাতী কীর্তণ হচ্ছে। অনেক গির্জায় প্রাক্ বড়দিন উৎসব হয়েছে। প্রতিটি গির্জায় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। ”