টানা বৃষ্টিতে ও মিধিলির’ প্রভাবে সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
Published : 17 Nov 2023, 02:20 PM
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে ঝালকাঠিতে। এতে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ জেলা শহরে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে লাগাতর বৃষ্টিতে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় শহরের রাস্তা-ঘাটগুলিও অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। সে জন্য সকাল থেকেই জেলা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঝালকাঠি বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান খোকন হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুতের লাইনে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তারও ছিড়ে গেছে। ডালপালা অপসারণ করে সংযোগ যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে কাজ চলছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে ও মিধিলির’ প্রভাবে সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। নদী তীরের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
তবে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতি বৃষ্টিতে নদীতে সামান্য পানি বাড়লেও তা বিপদ সীমার অনেক নীচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।”
এছাড়া বৃষ্টিতে শুক্রবার সকাল থেকে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ। শহরের রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
মিধিলির প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির গাছপালার ভেঙে পড়ার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেতেরও ক্ষতি হচ্ছে।
জেলা সদরের পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবুল ফকির বলেন, বৃষ্টিতে মাঠের আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়া শীতকালীন কপি, টমেটো, শাক-পালংসহ শাক-সবজিরও কিছু ক্ষতি হয়ে গেছে।
এমন অবস্থা আরও দু’একদিন চললে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানান এ কৃষক।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, মিধিলির মোকাবেলায় জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় ৪২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।