জেলায় এ বছর ৬৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।
Published : 17 Nov 2023, 03:43 PM
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় পিরোজপুরে আমন ধানের ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষীরা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৈরি আবহাওয়া ছিল উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে। শুক্রবার নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিলে সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।
তীব্র হাওয়ার দাপটে ও অতি বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের। প্রবল ঝড়ো বাতাসে পানিতে শুয়ে পড়েছে ধানসহ এবং সদ্য শিষ বেরোনো আমন ধানের গাছ। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন চাষী ও কৃষকরা।
অবিরাম বৃষ্টি ও বাতাস হলে পানি জমে রবিশস্যেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় এ বছর ৬৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, মিধিলি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবার কথা নয়। তবে বাতাসের কারণে যদি ধান গাছ নুয়ে যায় এবং পানি আটকে থাকে তাহলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
বৃষ্টির তীব্রতায় জেলার কঁচা, বলেশ্বের, কালিগঙ্গাসহ বৃহৎ নদ-নদী গুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষজনকে রাস্তায় দেখা যায়নি। বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে দোকান-পাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ আঘাত হানলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো সাইক্লোন শেল্টারে বা আশ্রয় কেন্দ্রে কাউকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় জেলা শহরসহ ৭টি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে চার লাখ ১০ হাজার টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ টন চাল এবং পাঁচ হাজার ৬০০টি কম্বল রয়েছে।