স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
নাদিমের স্বজনদের ভাষ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন নাদিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তবে মাহমুদুল আলম বাবু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মাহমুদুল আলম বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত বুধবার রাতে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে নাদিমের ওপর হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মাথায় গুরুতর আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গোলাম রাব্বানী নাদিম জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জালামপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরোধের কয়েকটি সংবাদ বাংলানিউজে প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদ প্রকাশের কারণে নাদিমকে হত্যা করা হয় বলে তার স্ত্রী-সন্তানের অভিযোগ।
গত ১০ মে বাংলানিউজে প্রকাশিত প্রকাশিত হয় ‘দুইবার বিয়ের পরও সন্তান-স্ত্রীকে অস্বীকার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান!’ শিরোনামের সংবাদ।
১৪ মে ২০২৩ প্রকাশিত ‘আমি আমার স্বামী চাই, একসঙ্গে সংসার করতে চাই’ এবং ২০ মে প্রকাশিত হয় ‘আ. লীগ থেকে স্বামীর বহিষ্কার চেয়ে স্ত্রীর আবেদন’ শিরোনামের সংবাদ।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল প্রকাশিত হয় সংবাদ ‘জামালপুরে সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি’।
এছাড়া ১১ মে গোলাম রব্বানী নাদিমের প্রকাশনা ও সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ হয়
‘বকশীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুকের মামলা’ শিরোনামের সংবাদ।
তবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের কোনো শত্রুতা নেই। এ হামলায় তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
আরও পড়ুন: