বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বন্যপাখি সংরক্ষণ করায় এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তার কাছে থাকা ৩১৪টি বন্যপাখি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুপচাচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী।
সাজাপ্রাপ্ত বন্যপাখি সংরক্ষণকারী আতোয়ার আলী সাকিদার (৫২) দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত ওছিমুদ্দিন সাকিদারের ছেলে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, আতোয়ার আলী অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণ ও বিক্রি করতেন।
বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সোমবার রাতে পৌনে ৯টায় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আতোয়ারকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওই বন্যপাখিগুলো হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিসেস্ট্রট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদীকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সাইহান জানান, উদ্ধার করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৪০টি ফুলমাথা টিয়া (ব্লোসম হেডেড প্যারাকিট), ৪০টি লাল মাথা টিয়া (পাম হেডেড প্যারাকিট), ৫০টি তিলা মুনিয়া পাখি ও ৮৪টি দেশি চাঁদি ঠোঁট মুনিয়া পাখি।
পরিদর্শক সাইহান বলেন, আতোয়ার দীর্ঘ ৯-১০ বছর যাবৎ অবৈধভাবে বন্যপাখি ধরে বিক্রি করে আসছিলেন। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পাখি ধরতেন তিনি। পরে এসব পাখি বেশি দামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন।