তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নীলফামারীতে আমনের ক্ষতি

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর জানায় পাউবো।

পানি বৃদ্ধির একদিন পরেই নীলফামারীতে তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ঢলের পানির সঙ্গে পলিমাটি জমে আধা পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির কথা জানিয়েছে কৃষক।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর জানান ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা।

এর আগে বুধবার বিকালে ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে; যা রাত ৮টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পাউবো জানায়, ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথ্যাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে; যা বিপৎসীমা অতিক্রম করে। তিস্তায় বন্যার আভাসে সতর্কতা জারি করে প্রচারণা চালায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পানি বাড়ায় ডিমলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১৫ গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বুধবার বিকাল ৪টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করে পাঁচ সেন্টিমিটার উপরে উঠে; যা রাত ৮টায় ২৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে।

এরপর থেকে পানি কমে রাত ১০টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং রাত ১১টায় ২৩ সেন্টিমিটার নিচে নামে বলে জানায় পাউবো।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর জানান নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, “বুধবার রাত ৮টার পর তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করে। তবে ঢলের পানির সঙ্গে পলিমাটি জমে কৃষকের অনেক আধা পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে।”

অসময়ের এ ঢলে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।

নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা ঘরে ফিরেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।