পাহাড়ে ৪ ইউপিডিএফ নেতা হত্যা: ২০ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার

এ ঘটনার পর থেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে গুলি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ এর চার নেতাকে হত্যার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় একটি সম্মেলন উপলক্ষে জড়ো হওয়ার নেতাকর্মীদের মধ্যে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে বলে পানছড়ির থানার ওসি শফিউল আজম জানান।

তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এলাকাটি দুর্গম। বিকেল সাড়ে ৫টার পরে চারজনের মৃতদেহ থানায় নিয়ে এসেছি।

“পরবর্তীতে যে আইনি কার্যক্রম তার প্রক্রিয়া চলছে”, বলেন ওসি।

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ জনকে গুলি করে হত্যা

নিহতরা হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।

এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, “আজ (মঙ্গলবার) সেখানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চার জন সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।”

স্থানীয়রা জানান, সাংগঠনিক কাজে বিপুল চাকমাসহ ৭ জন নেতাকর্মী সোমবার লোগাঙ এলাকায় ছিলেন। তারা রাতে অনিল পাড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে চারজনকে হত্যা করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।