বগুড়ায় ‘হিমালয়ান’ প্রজাতির শকুন উদ্ধার

সহযোগী অধ্যাপক এস এম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি ‘Himalayan griffon vulture’।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2022, 01:42 PM
Updated : 11 Dec 2022, 01:42 PM

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে হিমালয়ান প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয় বলে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সভাপতি রিফাত হাসান জানান।  

রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপজেলার বড়ইহাট ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে ফসলের মাঠে শকুনটি দেখতে পায় গ্রামবাসী। পরে তরুণরা সেটিকে ধরে ফেলে। পরে তারা বিষয়টি বনবিভাগকে জানায়। বনবিভাগের পরামর্শে তীরের সদস্যরা গিয়ে শকুনটিকে উদ্ধার করে।

হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বছরের এই সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে এদেশে আসে এই শকুন। ক্লান্তি ও খাদ্যাভাবে দুর্বল হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পড়ে শকুনগুলো। এ সময় এদের উদ্ধার ও বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। 

প্রতি বছরেই ‘তীর’ সদস্যরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শকুন উদ্ধারের কাজে বন বিভাগকে সহায়তা করে। এ বছর এরই মধ্যে তিনটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। 

শকুনটি উদ্ধারের সময় রিফাত হাসান, তীরের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, সহসভাপতি মুকিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক হোসেন রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গ্রামবাসীকে শকুরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করা হয়। 

‘তীর’ সভাপতি রিফাত হাসান বলেন, “শকুনটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।” 

সরকারি আজিজুল হক কলেজেরর প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি ‘Himalayan griffon vulture’। শকুন হচ্ছে, প্রকৃতির ঝাড়ুদার। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি। এটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী ও মৃতপ্রাণী ভক্ষণকারী পাখি। শকুনই একমাত্র প্রাণী যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকূলকে রক্ষা করে।” 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তীর’ শকুনসহ সব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকার জন্য সংগঠনটি ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড কনজারভেশন-২০২১’ এ ভূষিত হয়।