পঞ্চগড়ে সংঘর্ষে বিএনপি নেতার মৃত্যু: পুলিশের ৫ মামলায় আসামি ১৩০০

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2022, 03:33 PM
Updated : 25 Dec 2022, 03:33 PM

বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগ এনে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় এক হাজার ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা রোববার বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করেছে। এসব মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাতেই পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ওসি।

এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় বিএনপির ১ জন করে, আটোয়ারীতে বিএনপির তিনজন এবং তেঁতুলিয়ায় জামায়াতের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) মারা যান।

পুলিশের লাঠিপেটায় ওই ব্যক্তি মারা গেছেন বিএনপির পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হলেও; পুলিশ বলছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

এদিকে রশিদ আরেফিনের ময়নাতদন্ত পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে রোববার সম্পন্ন হয়েছে। দুপুরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

বাদ আছর বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর জোত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আব্দুর রশিদ আরেফিনের জানাজা হয়। পরে হরিপুর চন্দনপাড়া কবরস্থানে নিহত বিএনপি নেতাকে দাফন করা হয়। 

জানাজায় পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপির জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। 

আরও পড়ুন:

Also Read: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নেতার মৃত্যু